লিগ শেষ না হওয়ার আক্ষেপ আঁখির

করোনাভাইরাসের কারণে হোম কোয়ারেন্টিনে ফুটবলাররা। জাতীয় দল ও বসুন্ধরা কিংসের নারী ফুটবলার ডিফেন্ডার আঁখি খাতুনও এর ব্যতিক্রম নন। বয়সভিত্তিক দল ও জাতীয় দলে নিয়মিত মুখ হলেও এবারই প্রথম খেলছেন নারী লিগে। তাই করোনার কারণে লিগ শেষ না হওয়ার আক্ষেপ তার। অন্যদিকে ঈদের শপিং করতে গিয়ে করোনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে সাধারণ মানুষ এমনটাই অভিমত দিয়েছেন দৈনিক যায়যায়দিনের নিয়মিত সাক্ষাৎকার পর্বে-

প্রকাশ | ১২ মে ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যায়যায়দিন : কেমন আছেন। অনুশীলন কীভাবে করছেন? আঁখি : নিজেদের বাড়ি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আছি। ক্লাব লিগ বন্ধ হওয়ার পরই এখানে চলে এসেছি। প্রতিদিন ফজরের নামাজ পড়ে আমি, আব্বু ও আমার ভাই মিলে বাড়ির পাশে যে রাস্তা আছে সেখানে জগিং করি। ফিরে এসে কোর প্র্যাকটিস করি। এর জন্য বেশি জায়গা দরকার হয় না। যায়যায়দিন : ক্লাবের অন্য ফুটবলারদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়? আঁখি : ক্লাব সতীর্থদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। আমাদের ম্যাসেঞ্জারে একটা গ্রম্নপ আছে। সেখানে ক্লাবের যতজন ফুটবলার আছে সবার সঙ্গে গ্রম্নপ চ্যাটিং হয়। সবাই সবার খোঁজ খবর নেয়। যায়যায়দিন : ক্লাব থেকে কোচরা কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন ফিটনেস ধরে রাখতে? আঁখি : আমাদের ক্লাবের কোচ অদিতি আপু, ফয়সাল ভাই মাঝে মধ্যে ফোন দিয়ে বলেন অনুশীলন করতে। ফিটনেস ধরে রাখতে। আমাদের অধিনায়ক সাবিনা আপু গ্রম্নপ চ্যাটিংয়ে বলে দেয় সকালে কী করব, কীভাবে অনুশীলন করব। জাতীয় দলের কোচ ছোটন ভাইয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ হয়। তিনি দু-তিন দিন পর পরই ফোন দিয়ে খোঁজ নেন। যায়যায়দিন : অবসরে কী করেন? আঁখি : লুডু খেলি। গল্পের বই পড়তে ভালোবাসি। মাকে রান্নায় সহায়তা করতে চেষ্টা করি। যায়যায়দিন : এই ক্রাইসিস মোমেন্টে কি এমন কোনো স্বপ্নের কথা মনে হয় যেটা পূরণ হলে খুব ভালো হতো? আঁখি : আমি স্যারদের কাছে শুনেছি এর আগে মেয়েদের ক্লাব লিগ হয়েছে। কিন্তু তখন আমি খেলাতে আসিনি। আমার ক্যারিয়ারে একটা ক্লাব লিগ যে পেয়েছি। এটা নিয়ে আমি খুব আনন্দিত। কিন্তু প্রথম লিগটাই শেষ হয়নি। এটা নিয়ে শুধু আমি না ক্লাবের সব ফুটবলারদেরই মন খারাপ। আমাদের খেলাটা যদি শেষ হতো। ফাইনাল পর্যন্ত খেলে চ্যাম্পিয়ন হতে পারতাম। খুব ভালো হতো। যায়যায়দিন : জাতীয় দলে কোনো আনন্দময় মুহূর্তের কথা মনে পড়ে? ভারতে যখন সাফ হলো। প্রথম সেখানে সাফে বড় আপুদের সঙ্গে খেলেছি। সেটা ছিল অনেক আনন্দের। যায়যায়দিন : করোনার জন্য বিশেষ কোনো সাবধানতা অবলম্বন করছেন? আঁখি : করোনার জন্য বাসা থেকে খুব কম বের হচ্ছি। সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত ধুচ্ছি। সব নিয়ম কানুন মেনে চলছি। যায়যায়দিন : আপনাদের ওইখানে করোনার বর্তমান পরিস্থিতি কেমন দেখছেন? লোকজন লকডাউন মানছে? আঁখি : আমাদের বাড়ি থেকে শাহজাদপুরে যেতে দশ টাকা ভাড়া লাগে। আশপাশের লোকজনকে দেখি করোনা যে হয়েছে তা যেন পাত্তাই দিচ্ছে না। লোকজন ঈদের মার্কেটিং করতে দল বেঁধে বের হয়ে পড়েছে। বাজার আগের মতোই চলছে। এক জায়গায় অনেক লোক বসে থাকছে। এভাবেই কিন্তু ঝুঁকিটা বাড়ছে। বাংলাদেশে কিন্তু করোনাভাইরাস অতটা ছিল না। যখন দু-একজন শনাক্ত হয়েছিল তখনই যদি আমরা সচেতন হতাম তাহলে হয়তো পরিস্থিতি এতটা খারাপ হতো না। যায়যায়দিন : আপনার ভক্তদের উদ্দেশে এই ভাইরাস প্রতিরোধে কিছু বলতে চান? আঁখি : সবাইকে বলব খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে যাবেন না। বাসায় থাকুন। বাইরে যত বেশি যাবেন করোনা হওয়ার ঝুঁকি তত বাড়বে।