ফুটবল ছাড়া ভালো নেই ঋতুপর্ণা

বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দলের অন্যতম উইংগার হচ্ছেন ঋতুপর্ণা চাকমা। ক্লাব ফুটবলে এবার খেলছেন নাসরিন স্পোর্টস একাডেমির হয়ে। দৈনিক যায়যায়দিনের করোনাকালীন প্রতিদিনের সাক্ষাৎকারপর্বে আজ নিজের বর্তমান অবস্থা ও স্বপ্ন নিয়ে কথা বলেছেন এই নারী ফুটবলার।

প্রকাশ | ১৪ মে ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যায়যায়দিন : কেমন আছেন? কোথায় আছেন? ঋতুপর্ণা: এখন নিজের বাড়িতেই আছি। লিগ বন্ধ হয়ে যাওয়াতে ক্লাব ছুটি দিয়ে দেয়ার পরই এখানে চলে এসেছি। আমাদের বাড়ি রাঙ্গামাটি জেলার ঘাগড়ার মঘাছড়িতে। প্রায় দু'মাস হলো বাড়িতেই আছি। যায়যায়দিন : করোনা প্রতিরোধে কি কি নিয়ম মেনে চলছেন? ঋতুপর্ণা: আসলে আমার মনে হয় এটা এখন সবাই জানে কিভাবে সাবধান থাকতে হবে। আমিও সেভাবেই চলছি। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে যাই না। যদি কোনো কারণে যাইও, মাস্ক পরে নেই। বাইরে থেকে এসে সাবান দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে হাত ধুয়ে পরিষ্কার করে নেই। যায়যায়দিন : আপনাদের ওইখানে মানুষ কতটা সচেতন? ঋতুপর্ণা: আমাদের এখানে সবাই এই ভাইরাসটাকে খুব ভয় পায়। তাই মানুষ ঘর থেকে তেমন একটা বের হয় না। নিয়ম মেনে চলে। যায়যায়দিন : সতীর্থদের কথা মনে পড়ে? ঋতুপর্ণা : এখানে এসে সতীর্থদের অনেক মিস করছি। জাতীয় দল বা ক্লাবে যখন সবাই একসঙ্গে থাকি অনেক মজা করি। এখন ঐসব কথা খুব মনে পড়ে। যায়যায়দিন : মাঠে খেলা নেই, ফুটবলটাকে কতটা মিস করছেন? ঋতুপর্ণা: ভালোবেসেই ফুটবলে আসা। আমার বাবার স্বপ্ন ছিল আমি জাতীয় দলের হয়ে খেলব। কিন্তু উনি সেটা দেখে যেতে পারেননি। এখন লিগ বন্ধ। জাতীয় দলেরও কোনো ম্যাচ নেই। ফুটবল খেলতে পারছি না, তাই খুব মন খারাপ হয়। যায়যায়দিন: করোনার কারণে এ বছর যদি আর লিগ না হয় তার কতটা প্রভাব ফুটবলারদের উপর পড়বে? ঋতুপর্ণা: লিগ বন্ধ থাকায় সবাই যার যার বাড়িতে আছে। আর সত্যি বলতে ক্যাম্পে থাকলে নিজেকে যতটা ফিট রাখা যায় বাড়িতে সেটা হয়ে উঠে না। তাই লিগ বা খেলা বন্ধ থাকলে সবারই ফিটনেসে ঘাটতি দেখা দেবে। যায়যায়দিন: এমন কোনো স্বপ্ন আছে যেটা এখনো পূরণ হয়নি। ভবিষ্যতে পূরণ করতে চান? ঋতুপর্ণা: জাতীয় দলের একজন ফুটবলার হিসেবে আমি বাংলাদেশ দলের হয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে চাই এবং সাফের শিরোপা জিততে চাই। এই স্বপ্নটা পূরণ হলে তৃপ্ত হবো। যায়যায়দিন: দেশের মানুষ ও আপনার ফুটবল ভক্তদের উদ্দ্যেশ্যে কিছু বলতে চান? ঋতুপর্ণা: দেশের অনেক জায়গাতেই মানুষ নিয়ম মেনে চলছে না। এতে ঝুঁকি বাড়ছে। সবাই যদি বিধি-নিষেধ মেনে ঘরে থাকত তাহলে এই ভাইরাস এতটা ছড়াতো না। সবাইকে বলব ঘরে থাকুন। বিনা প্রয়োজনে বের হবেন না। আমরা সবাই যদি বিধি-নিষেধ মেনে ঘরে থাকি। তাহলে একটা সময় হয়তো এই সমস্যা আর থাকবে না। আর সবার শেষে বলতে চাই, সামর্থ্য অনুযায়ী অসহায়দের পাশে থাকুন।