সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ১৫ মে ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
করোনা আক্রান্ত কোচের পাশে বিসিবি ক্রীড়া প্রতিবেদক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ও বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক সহকারী কোচ আশিকুর রহমান। দুঃসময়ে তার পাশে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সব ধরনের সহযোগিতাই করা হচ্ছে বোর্ডের পক্ষ থেকে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন করোনা পজিটিভ আশিকের। বৃহস্পতিবার তিনি জানান, তার সঙ্গে কথা হয়েছে। সে তো ক্রিকেটেরই মানুষ। আমাদের ক্রিকেট পরিবারেরই একজন। যত সহযোগিতা লাগবে সেটি আমরা করবই, করছিও। 'আশিকের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে এখন ভালো। আশা করি দ্রম্নত সুস্থ হয়ে যাবে। শুধু আশিক নয়, ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গেই আমরা এই পরিস্থিতিতে থাকার চেষ্টা করছি। আমরা চেষ্টা করব সব সময় সবার পাশে থাকতে।' গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে জ্বর, ঠান্ডা ও বুকে ব্যথা অনুভব করে আসছিলেন আশিক। শনিবার মুগদা হাসপাতালে তার করোনা পরীক্ষা করানো হয়। বাফুফের জরুরি সভা রোববার ক্রীড়া প্রতিবেদক ধরেই নেওয়া যায়, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের দ্বাদশ আসরের শেষ ম্যাচটা হয়ে গেছে। লিগ বাতিল কিংবা সমাপ্ত যেকোনো একটি ঘোষণা শোনার অপেক্ষা। আগামী রোববার সেই ঘোষণা আসবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) জরুরি সভা থেকে। এখন ১৭ মে'র দিকে তাকিয়ে ক্লাব, খেলোয়াড়সহ দেশের ফুটবলের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাই। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ জানিয়েছেন আগামী মৌসুমের দিকনের্দশনাও থাকছে এই সভায়। লিগ সমাপ্ত না কি বাতিল?- এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই বেশির ভাগ ক্লাবের। লিগ না হলেই তারা ছাড়বে স্বস্তির নিশ্বাস। যে দলগুলো আছে চ্যাম্পিয়ন ফাইটে তাদের সামনেই বড় প্রশ্ন, লিগ বাতিল না কি সমাপ্ত? এটা কাচের মতো পরিষ্কার যে, ঢাকা আবাহনী চাইবে লিগটা সমাপ্ত ঘোষণা করা হোক। তাতে তাদের ঘরে উঠবে ট্রফি। নিশ্চয়ই এই সিদ্ধান্ত মানতে চাইবে না বসুন্ধরা কিংস, চট্টগ্রাম আবাহনী এবং শেখ জামাল ধানমন্ডিসহ কয়েকটি ক্লাব। বাফুফে অবশ্য ক্লাবগুলোর দাবির চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে এএফসির গাইডলাইনকে। রোববারের আগেই এএফসি জানিয়ে দেবে বাফুফেকে কী সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ভোট সামনে, বাফুফে কোনো ক্লাবকেই চটাতে চাইবে না। তাই এএফসির কোর্টে বল ঠেলে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবে দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থাটি। বাতিল না কি সমাপ্তি সেটা সিদ্ধান্তের বিষয়। ক্লাবগুলোর বেশির ভাগ এ লিগ নিয়ে কোনো চিন্তাই করছে না। তারা বরং নতুন মৌসুম নিয়ে ভাবনা শুরু করছে। নতুন মৌসুমে দু-একটি ছাড়া বেশির ভাগ ক্লাবেরই দল গঠন করতে গলদঘর্ম হতে হবে। করোনা-পরবর্তী সময়ে ক্লাবের স্পন্সররা কতটুকু সহায়তা করতে পারবে সে শঙ্কা এখনই ভর করেছে কর্মকর্তাদের মধ্যে। এ প্রসঙ্গে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ফুটবল দলের ম্যানেজার আমের খান বলেন, 'বাফুফেকে এখনই ঘোষণা দেওয়া উচিত আগামী মৌসুমের বিষয়ে। চলমান মৌসুমের ইতি টানার পাশাপাশি সেই ঘোষণাও আমরা চাই। তাহলে ক্লাবগুলো আগে থেকেই একটা প্রস্তুতি নিতে পারবে। আগামী মৌসুমে দল তৈরি করা হবে আরও কঠিন। কবে ট্রান্সফার, কবে টুর্নামেন্ট, কবে লিগ, বিদেশি কোটা- সবকিছুই এখন ঘোষণা দিলে ভালো হয়।'