আট মাস মাঠে না ফেরার কষ্ট জনির

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ও বসুন্ধরা কিংসের অন্যতম মিডফিল্ডার মাসুক মিয়া জনি। নিজের প্রতিভা দিয়েই জায়গা করে নিয়েছেন জাতীয় দলে। কিন্তু গত বছর আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচের অনুশীলনে ইনজুরিতে পড়ে আট মাস মাঠের বাইরে। এর মধ্যেই করোনার হানা। সব ঠিক হলে শিগগিরই মাঠে ফিরতে চান। কোচ জেমি'ডেকে আরও দু'বছর পাশে পাওয়ায় আরও ভালো কিছু পেতে পারে বাংলাদেশ। দৈনিক যায়যায়দিনের নিয়মিত সাক্ষাৎকার পর্বে এমনটাই জানালেন জনি।

প্রকাশ | ১৭ মে ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যায়যায়দিন : কেমন আছেন? কোথায় আছেন? জনি : আলস্নাহর রহমতে ভালো আছি। ক্যাম্প ছুটি হয়ে যাবার পর এখানে (শ্রীমঙ্গলে) চলে এসেছি। যায়যায়দিন : এই করোনাতে ফিটনেস কীভাবে ধরে রাখছেন? সব ফুটবলারের জন্যই তো এটা বড় চ্যালেঞ্জ। জনি : এতোদিন ভালোই অনুশীলন করেছি। ক্লাবের কোচ, ফিজিও এবং ট্রেনার আমাকে যে হোমওয়ার্কগুলো দিয়েছিলেন ওইগুলো করেছি। এখন রোজা। তাই হালকা অনুশীলন করছি। বাড়ির পাশে বাগানে, মাঠে, রাস্তায় যেখানেই লোক সমাগম কম সেখানেই অনুশীলন করেছি। যায়যায়দিন : আপনার একটা ইনজুরি ছিল। এখন সেটার কী অবস্থা? জনি : এখন আমি অনেকটাই সুস্থ। আগের থেকে অবস্থা অনেক ভালো। তবে যেহেতু এখনো মাঠে নামিনি তাই কতটা প্রস্তুত সেটা বলতে পারছি না। কতটা সুস্থ হয়েছি সেটা বুঝা যাবে মাঠে খেলতে নামলে। তবে এমনিতে বেশ সুস্থ অনুভব করছি। যায়যায়দিন : এমনিতেই প্রায় আট মাস মাঠের বাইরে। তার মধ্যে করোনায় খেলা বন্ধ। আপনার জন্য বিষয়টা কেমন? জনি : খেলা না থাকায় অবশ্যই অনেক খারাপ লাগছে। তবে আমি যেহেতু ইনজুরিতে ছিলাম তাই এই সময়টা পাওয়াতে আমার জন্য ভালো হয়েছে। সুস্থ হতে অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে। এই সময়টাতে নিজেকে আরও প্রস্তুত করার সুযোগ পাচ্ছি। যায়যায়দিন : কিন্তু এ বছর আর লিগ না হবার সম্ভাবনাটাই বেশি। করোনার কারণে যদি এভাবে খেলা বন্ধ হয়ে যায় সেটা আপনার জন্য এবং সামগ্রিকভাবে দেশের ফুটবল ও ফুটবলারদের জন্য কতটা ক্ষতির কারণ হবে? জনি : খেলাটা শুরু হলে আমি তাড়াতাড়ি মাঠে ফিরতে পারতাম। সেটা হবে না। আর মাঠে খেলা না থাকলে সামগ্রিকভাবে সব ফুটবলারই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। লিগ না থাকলে তার প্রভাব জাতীয় দলেও পড়বে। ফুটবলারদের ফিটনেস ও মন মানসিকতা নষ্ট হয়ে যাবে। এটা অবশ্যই খারাপ দিক। যায়যায়দিন : এই খারাপ সময়ে এমন কোনো স্বপ্নের কথা কি মনে হয় যেটা পূরণ হয়নি। বা পূরণ করতে পারলে ভালো লাগতো? জনি : আমার মনে হয় একজন ফুটবলারের স্বপ্ন থাকে ফুটবল নিয়েই। আমার স্বপ্ন জাতীয় দলের হয়ে কোনো ট্রফি জেতা। বাংলাদেশ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে আরও ভালো খেলবে। আমরা বড় বড় দেশকে হারিয়ে দেব এমনটাই স্বপ্ন দেখি। এই স্বপ্নগুলো পূরণ হলে ভালো লাগবে। যায়যায়দিন : আগামী দু'বছরের জন্য জাতীয় দলের কোচ হিসেবে জেমিকেই রাখা হচ্ছে। এ বিষয়টাকে কীভাবে দেখছেন? জনি : এটা যদি হয় অবশ্যই ভালো খবর। কারণ সে প্রায় দেড় বছর ধরে আমাদের সঙ্গে আছে। তার সঙ্গে দলের সব ফুটবলারের একটা ভালো বোঝাপড়া আছে। সেটা সিনিয়র হোক কিংবা জুনিয়র। আমাদের তরুণদের মধ্যে একটা স্পিরিট চলে এসেছে। তাই আমি মনে করি সে দায়িত্বে থাকলে আমাদের ফুটবলারদের জন্য যেমন ভালো হবে সেই সঙ্গে সব পরিস্থিতি ঠিক হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সামনে আমরা আরও ভালো একটা ফলাফল পাব।