ভারতীয় সুতা আমদানিতে শুল্ক আরোপের দাবি

প্রকাশ | ০১ জুন ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
করোনাভাইরাসের ক্ষতি পোষাতে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া তৈরি পোশাকের ওপর শুল্ক আরোপের দাবি করেছেন ভারতের ব্যবসায়ীরা। এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ভারতীয় সুতা আমদানির ওপর অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপের দাবি করেছে বাংলাদেশের বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ। তারা বলেছেন, ভারতের ব্যবসায়ীরা ডাম্পিং মূল্যে সুতা রপ্তানি করায় বাংলাদেশের মিলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী শনিবার ভারতীয় সুতার ওপর অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপের দাবি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে চিঠি দেন। একই সঙ্গে সুতা আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি কাউন্ট সুতার ক্ষেত্রে ট্যারিফ ভ্যালু ধার্য, আমদানি করা সুতার শুল্কায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সুতার আমদানি মূল্য সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে খালাসের ব্যবস্থা এবং ডিসেম্বর পর্যন্ত বস্ত্র খাতের নগদ সহায়তা ৪ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশ নির্ধারণের দাবি জানান তিনি। করোনার ক্ষতি পোষাতে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া তৈরি পোশাকের ওপর শুল্ক আরোপের দাবি করে গত ২২ মে ভারতের বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে চিঠি দেন ভারতের দ্য ক্লদিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (সিএমএআই) সভাপতি রাকেশ বিয়ানি। আগামী ১২ মাসের জন্য শুল্ক আরোপ চায় ভারতের পোশাক উৎপাদনকারী ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনটি। সিএমএআই সভাপতি রাকেশ বিয়ানি চিঠিতে উলেস্নখ করেন, বাংলাদেশ থেকে শুল্কমুক্ত পোশাক আমদানির মাধ্যমে পেছন দরজা দিয়ে চীনের কাপড় ভারতে চলে আসছে। এতে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানানির্ভর দেশীয় পোশাক খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। করোনায় ভারতের অক্ষুন্তরীণ বাজারে পোশাকের চাহিদা ৪০ শতাংশের বেশি কমেছে বলেও দাবি করে সিএমএআই।