করোনা পরিস্থিতিতে বেনাপোলে রেলকার্গো হ্যান্ডলিংয়ের অনুমতি

প্রকাশ | ০৬ জুন ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
শর্তসাপেক্ষে রেলপথে আমদানি-রফতানি সুগম করতে বেনাপোল-পেট্রাপোল রুটে পার্শ্ব-দরজা বিশিষ্ট কন্টেইনার ট্রেন চালুর অনুমতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর মধ্য দিয়ে এখন ভারত থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি করতে পারবে বাংলাদেশ। এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস: আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও চুক্তি) আকতার হোসেন স্বাক্ষরিত গত ৪ জুনের এক আদেশে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেনাপোল-পেট্রাপোলের সব অংশীজন এনবিআরের আদেশের আলোকে নিজ নিজ পণ্য বা কার্গো আমদানি করতে করতে পারবে। আগে শুধু বাল্ক কার্গো যেমন পাথর, পাথর চিপস, ধান, চাল রেলে আমদানি হতো। এখন থেকে সব রকমের পণ্য পণ্যবাহী ট্রেনে করে আনা যাবে। তবে এই অনুমতি শুধু চলমান করোনাসঙ্কট পর্যন্ত বহাল থাকবে। আদেশে বলা হয়েছে, গত ৪ মে কভিড-১৯ সংক্রমনকালীন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নিত্যপয়োজনীয় পণ্য রেলপথে পরিবহনের বিষয়ে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এনবিআরের সঙ্গে একটি ভিডিও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ভারতের পক্ষ থেকে রেলপথে সব ধরনের পণ্য আমদানিতে সহায়তার অনুরোধ করা হয়। বিষয়টি পরীক্ষা করে মতামত প্রদানের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিকে আহ্‌বায়ক করে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তর প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত কমিটি কয়েকটি সুপারিশ করে প্রতিবেদন দাখিল করে। সুপারিশের মধ্যে অন্যতম হলো- বেনাপোল-পেট্রাপোল রুটে পার্শ্ব-দরজা বিশিষ্ট কন্টেইনার ট্রেন চালুর অনুমতি প্রদান। সুপারিশের আলোকে ছয়টি শর্তসাপেক্ষে এ অনুমতি প্রদান। শর্তের মধ্যে রয়েছে, বেনাপোল কাস্টম হাউসকে রেলপথে আমদানি করা পণ্যের কাস্টমস প্রক্রিয়া সম্পন্নের একটি আর্দশ পদ্ধতি প্রণয়নপূর্বক এনবিআরকে অবহিত করতে হবে। পণ্য আমদানির আগে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রেলওয়ের মাধ্যমে বন্দর অভ্যন্তরে পণ্যের অবতরণ, সংরক্ষণ ও কায়িক পরীক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় পূর্তকাজ সম্পন্ন করতে হবে। শর্তের মধ্যে আরো রয়েছে, সকল পণ্য সহকারী কমিশনার বা উপকমিশনারের উপস্থিতিতে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। ঘোষণার যথার্থতা যাচাই ও যথাযথ শুল্ককর আদায় নিশ্চিতকল্পে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমদানি নীতি আদেশসহ সকল আইন ও বিধি-বিধান পরিপালন করতে হবে। কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনা সত্ত্‌েবও বাণিজ্য শুরু করা যায়নি। কিন্তু মে মাসের শেষ সপ্তাহে বেনাপোল কাস্টম রেলকার্গোতে ধানবীজের একটি চালান ১০ মিনিটে শুল্কায়ন করে রেকর্ড করে।