৭০ দিন পর ভারত থেকে সড়কপথে পণ্য এলো বাংলাদেশে

প্রকাশ | ০৬ জুন ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমতি না থাকায় দীর্ঘদিন সড়কপথে বন্ধ ছিল ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্য। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি থাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতির আর অপেক্ষা না করে সড়কপথে স্থলবন্দর দিয়ে ভারত পণ্যসামগ্রী পাঠাল বাংলাদেশে। ফলে ৭০ দিন পর ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকল বাংলাদেশে। পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার মহদিপুর সীমান্ত দিয়ে ৮৬টি ট্রাক বৃহস্পতিবার দুপুরে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রবেশ করে। যদিও ভারত সরকার স্থলবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের অনুমতি দিয়েছে ২৪ এপ্রিল। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে অনুমতি না পাওয়ায় রপ্তানিকারকরা বাংলাদেশে কোনো সামগ্রী পাঠাতে পারেনি বলে জানান ওই ব্যবসায়ী। ভারত সরকার বারবার চিঠি দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে স্থলবন্দর দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য শুরুর অনুমতি দেয়ার অনুরোধ করলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। ভারত সরকার ছাড়াও বেশকিছু বণিক সভাও পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বাণিজ্যের অনুমতি দিতে অনুরোধ করেছিল। কিন্তু এতদিন কারও কথাই কানে তোলেনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পশ্চিমবঙ্গের ছয়টি স্থলবন্দর- মহদিপুর, চ্যাংড়াবান্ধা, ফুলবাড়ী, হিলি, ঘোজাডাঙ্গা এবং পেট্রাপোল দিয়ে দুই দেশের মধ্যে প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার কোটি ইন্ডিয়ান রুপির ব্যবসা হয়। ভারতের আরেক ব্যবসায়ী জানান, বাংলাদেশ থেকে আমদানিকারক সংস্থাগুলো আমাদের বারবার বলছিল রপ্তানি শুরু করতে। অনেক অপেক্ষার পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিই বাংলাদেশে সামগ্রী পাঠাব, কারণ ভারত সরকারের অনুমোদন রয়েছে। আর কাস্টমস এবং বিএসএফ আমাদের সহযোগিতার আশ্বাস দিল, তাই আমরা রাজ্য সরকারের অনুমতির অপেক্ষা না করেই ট্রাক পাঠানো শুরু করলাম। মহদিপুরের ব্যবসায়ীদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে অন্য স্থলবন্দর দিয়েও এবার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন ভারত ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। তবে করোনার সংক্রমণ নিয়ে আশঙ্কা থাকায় সীমান্ত অতিক্রমের আগেই গাড়ি চালকদের শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা করা হবে। এছাড়াও ট্রাকগুলো স্যানিটাইজ করা হবে। বাংলাদেশের ভেতরে কোনো ট্রাক ২৫০ মিটারের বেশি যাবে না এবং ফেরার সময়ও চালকদের শারীরিক পরীক্ষা করা হবে।