স্বাস্থ্যবিধি মেনে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি চালুর সিদ্ধান্ত

প্রকাশ | ০৭ জুন ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের মাধ্যমে প্রায় আড়াই মাস বন্ধের পর ৬ জুন থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মাঝে পণ্য আমদানি-রপ্তানি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুদেশের আমদানি-রপ্তানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার বিকাল ৪টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হিলি সীমান্তের চেকপোস্ট গেটের শূন্যরেখায় দাঁড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে দুদেশের ব্যবসায়ীদের মাঝে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কামাল হোসেন রাজের নেতৃত্বে ব্যবসায়ী ও পৌর মেয়র জামিল হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা, আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রম্নপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেনসহ আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ছিল। অন্যদিকে ভারতের পক্ষে ভারতের হিলি এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলাউদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় মজুমদার, অশোক আগারওয়াল, পান্না ভৌমিক, বিকাশ রায়সহ আট সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কামাল হোসেন রাজ জানান, এরই মধ্যে সোনা মসজিদ, ভোমরা, বেনাপোলসহ অন্যান্য বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। এরই আলোকে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি চালু করতে আমরা দুদেশের ব্যবসায়ীরা মিটিং করেছি। সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ২০টি করে মোট ৪০টি ট্রাকে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করবেন মর্মে বৈঠকে জানিয়েছেন। আমরা দুই পক্ষই এ সিদ্ধান্তে একমত হয়েছি ও আগামীকাল (আজ) সকাল থেকে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করে হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ভারত-বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি ও লকডাউন চলার কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। গতকাল দুদেশের ব্যবসায়ী ও বন্দর কর্তৃপক্ষের বৈঠকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৬ জুন থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেক্ষেত্রে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি যেসব নির্দেশনা রয়েছে সেগুলো পূরণ করেই বন্দরে প্রবেশ করানো হবে। ভারতীয় ট্রাকচালকরা গাড়ি থেকে যেন অন্য কোথাও যেতে না পারেন, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, এদিকে দীর্ঘদিন পর বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হওয়ায় সরকারের রাজস্ব আয় যেমন বাড়বে, তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষের আয় বাড়বে। অন্যদিকে কাজ না থাকায় বিপাকে পড়া শ্রমিকদের মাঝে সচ্ছলতা ফিরবে। উলেস্নখ্য, এর আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতের মাধ্যমে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি চালু করতে গতকাল দুপুরে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের চিঠি দিয়েছিলেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। এর পরই দুদেশের মধ্যে বৈঠকের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।