শেয়ারবাজার লেনদেনের অগ্রিম আয়কর কমানোর দাবি

প্রকাশ | ১৯ জুন ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
শেয়ারবাজারে লেনদেনের ওপর অগ্রিম আয়কর কমানোর দাবি জানিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের নিয়ে গঠিত এই সংগঠনটি বলছে, ব্রোকার হাউজের অস্তিত্ব রক্ষায় শেয়ার লেনদেনের ওপর অগ্রিম আয়কর দশমিক শূন্য ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক শূন্য ১৫ শতাংশ করা উচিত। বৃহস্পতিবার ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের লেনদেন কমে যাওয়ায় একমাত্র কমিশন আয়ের ওপর নির্ভরশীল ব্রোকারেজ হাউজগুলো ক্রমাগত লোকসানের মুখে পড়েছে। ফলে অফিস পরিচালন ব্যয়ভার মেটাতে না পেরে অসংখ্য শাখা অফিস ইতোমধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে এবং আরও অসংখ্য শাখা অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে ব্রোকারদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমেও স্থবিরতা বিরাজ করছে। কোভিড-১৯ এর ফলে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকা ব্রোকারেজ হাউজের এই সংকট আরও চরমে পৌঁছেছে। শরীফ আনোয়ার হোসেন বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়নের সাথে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন জড়িত। পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়নে ব্রোকারদের বাঁচিয়ে রাখার নিমিত্তে আমরা শেয়ার লেনদেনের ওপর বিদ্যমান অগ্রিম আয়কর দশমিক শূন্য ৫০ এর পরিবর্তে দশমিক শূন্য ১৫ করার জন্য অর্থমন্ত্রীর কাছে লিখিত সুপারিশ জানিয়েছি। 'পুঁজিবাজারসহ ব্রোকারদের সামগ্রিক পরিস্থিতি তথা কোভিড-১৯ এর ফলে আগামীদিনে ব্যবসায় বিরূপ প্রভাবের সম্ভাবনা বিবেচনা করে বিদ্যমান অগ্রিম আয়কর দশমিক শূন্য ৫০ শতাংশের পরিবর্তে দশমিক শূন্য ১৫ করে দেওয়ার বিনীত সুপারিশ করছি।' তিনি আরও বলেন, বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত ৩ বছরের লক-ইন আমরা প্রত্যাহার চাচ্ছি। একই সঙ্গে এই করহার ১০ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ করার দাবি করছি। ফলে বাজারে অপ্রদর্শিত অর্থের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। তারল্য প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়ে বাজার সক্রিয় ও শক্তিশালী হবে। করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা দুই লাখ টাকা করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, কোম্পানি থেকে দেওয়া ডিভিডেন্ড আয়ের করমুক্ত সীমা বিদ্যমান ৫০ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২ লাখ টাকা করার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির ন্যায় তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রেও ২.৫ শতাংশ কর হ্রাস করার সুপারিশ করছি। এর ফলে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো ব্যবসায়িকভাবে আরও সক্রিয় ও সমৃদ্ধ হবে, যা প্রত্যক্ষভাবে পুঁজিবাজারের জন্য, বিনিয়োগকারীর জন্য তথা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সুফল বয়ে আনবে।