উল্টো চিত্র বেক্সিমকো সিনথেটিকের

প্রকাশ | ২১ জুন ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আগের সপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটি দখল করলেও গত সপ্তাহে দাম কমার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে লোকসানে নিমজ্জিত বেক্সিমকো সিনথেটিক। বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই দাম কমেছে বেক্সিমকো সিনথেটিকের। গত সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। টাকার অঙ্কে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ৪০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৫০ পয়সায়, যা তার আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ৫ টাকা ৯০ পয়সা। এদিকে দাম কমে যাওয়ার পরও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হয়েছে মাত্র ৪৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে ৯ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। গত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের এমন অনাগ্রহ দেখা দিলেও আগের সপ্তাহে এক শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারের প্রতি বেশ আগ্রহ দেখা দেয়। ফলে ডিএসইতে দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটিও দখল করে পচা বা জেড গ্রম্নপের এই কোম্পানিটি। শুধু গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে নয়, তার আগেও কোম্পানিটির শেয়ার দাম বাড়ে। মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে টানা ৬৬ দিন বন্ধ থাকে শেয়ারবাজার। দীর্ঘ বন্ধের পর গত ৩১ মে থেকে শেয়ারবাজারে আবার লেনদেন শুরু হয়ছে। দীর্ঘ বিরতির পর এ লেনদেন শুরুর দিন থেকেই বেক্সিমকো সিনথেটিকের শেয়ার দাম বাড়তে থাকে। গত ৩১ মে কোম্পানির শেয়ার দাম ছিল ৩ টাকা ৫০ পয়সা। সেখান থেকে টানা বেড়ে ৪ মে ৪ টাকা ৯০ পয়সা হয়। পরের সপ্তাহে আরও বেড়ে ১১ মে ৫ টাকা ৯০ পয়সা হয়। অর্থাৎ দুই সপ্তাহের টানা উত্থানে কোম্পানিটির শেয়ার দাম বেড়েছে ২ টাকা ৪০ পয়সা বা ৬৯ শতাংশ। করোনা সংকটের মধ্যে হঠাৎ শেয়ারের এমন দাম বাড়লেও বছরের পর বছর ধরে কোম্পানি লোকসানে নিমজ্জিত রয়েছে। ফলে ২০১২ সালের পর শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। যে কারণে শেয়ারবাজারে 'জেড' গ্রম্নপ বা পচা কোম্পানির তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেক্সিমকো সিনথেটিক। দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত লোকসানে নিমজ্জিত কোম্পানিটির সর্বশেষ আর্থিক প্রতিবেদনেও বড় ধরনের লোকসানের চিত্র উঠে এসেছে। ডিএসইর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি চলতি হিসাব বছরের প্রথম ছয় মাসের (২০১৯ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে কোম্পানিটির লোকসান হয়েছে ১২ কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এতে প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে লোকসান দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা। বেক্সিমকো সিনথেটিকের পরেই গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় ছিল ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। সপ্তাহজুড়ে এই কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমেছে ৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এছাড়া গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর শীর্ষ তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে- ফিনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচু্যয়াল ফান্ডের ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ, এসিআই ফরমুলেশনের ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ, পাওয়ার গ্রিডের ৪ দশমিক ২৪ শতাংশ, বেক্সিমকোর ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের ৩ দশমিক ৭০ শতাংশ, আনলিমা ইয়ান ডাইংয়ের ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং দেশ গার্মেন্টের ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ দাম কমেছে।