লেনদেনখরার বাজারে ফিরল পৌনে ৪০০ কোটি টাকা

প্রকাশ | ২৭ জুন ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ আর ফ্লোর প্রাইসের কারণে লেনদেনখরা জেঁকে বসেছে দেশের শেয়ারবাজারে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) গড় লেনদেন নেমে এসেছে ৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি। এমন লেনদেনখরার বাজারে পৌনে ৪০০ কোটি টাকা ফিরে পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেওয়ায় শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে এই অর্থ ফিরে পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে গত কয়েক সপ্তাহের মতো গত সপ্তাহেও লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম অপরিবর্তিত থাকে। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২০টির। আর ২৮৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে তার থেকে বেশি সংখ্যকের দাম বাড়ায় বাজার মূলধন বেড়েছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ১০ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৩৬৮ কোটি টাকা। এদিকে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ দশমিক ৭০ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৬ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট। বাকি দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্‌ সূচক বেড়েছে দশমিক ৯৪ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ১ দশমিক ২৩ পয়েন্ট। আর ডিএসই-৩০ বেড়েছে ৪ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৬ দশমিক ৩২ পয়েন্ট। সূচক বাড়লেও ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের গতি। দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ পঞ্চাশ কোটি টাকার কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৫৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৬৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বা ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৮৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৩৩৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে ৫৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা বা ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের মধ্যে 'এ' গ্রম্নপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দাঁড়িয়েছে ৯৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। এছাড়া ডিএসইর মোট লেনদেনে 'বি' গ্রম্নপের অবদান দশমিক ৫৭ শতাংশ। 'জেড' গ্রম্নপের প্রতিষ্ঠানের অবদান দশমিক ২৮ শতাংশ এবং 'এন' গ্রম্নপের অবদান দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।