সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ২৮ জুন ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন যাযাদি রিপোর্ট সমাপ্ত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সব ধরনের মূল্য সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণ আরও নিচে নেমে গেছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ১০০ কোটি টাকার নিচে লেনদেন হয়েছে। এই সময়ে ডিএসইতে ১৬.১৮ শতাংশ লেনদেন কমেছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৬০টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়ামাত্র ১০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে। দর কমেছে ৬ শতাংশ শেয়ারের। অন্যদিকে দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৯ শতাংশ কোম্পানির। আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে ২৮৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে ৩৩৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল। ডিএসইর সাপ্তাহিক পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে। সপ্তাহ শেষে ডিএসইএক্স এর অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৯৬৯ দশমিক ২৮ পয়েন্ট। যা আগের সপ্তাহের চেয়ে দশমিক ২২ শতাংশ বা ৮ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বেশি। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে বাজারমূলধনে শীর্ষ ৩০ কোম্পানির সূচক ডিএসই ৩০ আগের সপ্তাহের চেয়ে দশমিক ৩৭ শতাংশ বা ৪ দশমিক ৮৯ পয়েন্ট বেড়েছে। আর শরীয়াহ সূচক ডিএসইএস বেড়েছে দশমিক ১০ শতাংশ। সাবমেরিন ক্যাবলসের মুনাফায় উলস্নম্ফন যাযাদি রিপোর্ট পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড ৩১ মার্চ, ২০২০ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি'২০-মার্চ'২০) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আলোচিত প্রান্তিকে কোম্পানিটির মুনাফাও ইপিএসে বেশ সড়সড় উলস্নম্ফন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় আলোচিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ৭২ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ১ টাকা ৪ পয়সা। চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে গত বছরের তুলনায় কোম্পানিটির ইপিএস ৬৮ পয়সা বা প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে প্রথম তিন প্রান্তিকে তথা ৯ মাসে (জুলাই'১৯-মার্চ'২০) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৯৮ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে তা ছিল ২ টাকা ৪৭ পয়সা। তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) ছিল ৫ টাকা ৮১ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ক্যাশ ফ্লো ছিল ৫ টাকা ২ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২০ তারিখে শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৪১ টাকা ১২ পয়সা। ডিএসইতে পিই রেশিও বেড়েছে যাযাদি রিপোর্ট সমাপ্ত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও বেড়েছে দশমিক ১৩ পয়েন্টে বা ১.২৪ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর পিই ছিল ১০.৬৪ পয়েন্টে। যা আগের সপ্তাহেও ছিল ১০.৫১ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭ পয়েন্টে। সিমেন্ট খাতের ২১.৪ পয়েন্টে, সিরামিকস খাতের ৬০.৩ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ২৯.৩ পয়েন্ট, আর্থিক খাতের ২৪.৮ পয়েন্ট, খাদ্য খাতের ১৭.৭ পয়েন্ট, জ্বালানি-বিদু্যৎ খাতের ১৩.৫ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতের ১১.১ পয়েন্ট, আইটি খাতের ১৬.৭ পয়েন্ট, পাট খাতের ৪৩.২ পয়েন্ট, বিবিধ খাতের ২৪.৯ শতাংশ, কাগজ খাতের ৪১.৪ পয়েন্ট, ওষুধ খাতের ১৮.১ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতের ০.৫ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতের ২২.৮ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ৭.৬ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতের ১২.৬ পয়েন্ট ও ভ্রমণ-অবকাশ খাতের ৪৬.৩ পয়েন্ট। সাপ্তাহিক গেইনারের শীর্ষে এমবি ফার্মা যাযাদি রিপোর্ট সমাপ্ত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টপটেন গেইনার বা দর বাড়ার শীর্ষে রয়েছে এমবি ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে শেয়ারটির দর ৮.২৯ শতাংশ বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আলোচ্য সপ্তাহে শেয়ারটি গড়ে প্রতিদিন ৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা লেনদেন করে। গেইনারের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস। গত সপ্তাহে ইউনিটটির সর্বোচ্চ দর বেড়েছে ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ। কোম্পানিটির গড়ে প্রতিদিন ৯ লাখ ৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ফার্মা এইডস গেইনারের তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। কোম্পানিটি গড়ে প্রতিদিন ১৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ন্যাশনাল লাইফ ইন্সু্যরেন্স, প্যারামাউন্ট ইন্সু্যরেন্স, বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস, পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি, এক্সিম ব্যাংক, বাংলাদেশ সাব মেরিন ক্যাবলস ও দ্য একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড।