সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ০২ জুলাই ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
২ বছর পর ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি যাযাদি ডেস্ক দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অতিবৃষ্টি, বন্যার কারণে মরিচের গাছ ও ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে কাঁচামরিচের উৎপাদন কম হয়েছে। এতে দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় কাঁচামরিচের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। এ অবস্থায় দেশের বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম হাতের নাগালের মধ্যে রাখতে দুই বছর পর ফের দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু করেছেন আমদানিকারকরা। এতে করে দেশের বাজারে কাঁচামরিচের দাম কমতে শুরু করেছে। হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ স্থলবন্দর দিয়ে সর্বশেষ ২০১৮ সালে কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছিল। এরপর দুই বছর পণ্যটির আমদানি বন্ধ ছিল। ২৯ জুন থেকে ফের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। এদিন প্রায় ২ হাজার ৮০০ কেজি কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। গতকাল হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আরো তিনটি ট্রাকে প্রায় আট টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। হিলির বাজার ঘুরে আমদানি করা এসব কাঁচামরিচ পাইকারি পর্যায়ে (ট্রাকসেল) ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। আমদানির কারণে দেশে উৎপাদিত কাঁচামরিচের দামও কমে গেছে। গতকাল দেশে উৎপাদিত প্রতি কেজি কাঁচামরিচ মানভেদে ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়। একদিন আগেও পণ্যটি ১২০ টাকার ওপরে বিক্রি হয়েছিল। স্থানীয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স খান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অতিবৃষ্টি ও বন্যা হওয়ার কারণে কাঁচামরিচের গাছ ও ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশের বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে কেজিপ্রতি ১০০ টাকার ওপরে উঠে যায়। এ অবস্থায় দেশের বাজারে কাঁচামরিচের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও দাম ক্রেতাদের হাতের নাগালের মধ্যে রাখতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি করা হচ্ছে। দুই বছর পর কাঁচামরিচ আমদানি হওয়ায় কমতির দিকে রয়েছে দাম। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৮২ কোটি টাকা ঋণ পেল মেঘনা ইকোনমিক জোন যাযাদি রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংক নারায়ণগঞ্জে নির্মাণাধীন মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন লিমিটেডকে ২৮২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন অ্যান্ড ফাইনান্সিং ফ্যাসিলিটি-২ (আইপিএফএফ-২) প্রকল্পের আওতায় ইকোনমিক জোনের কাজ চলছে। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রাইভেট ইকোনমিক জোনগুলোর মধ্যে মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন লিমিটেডই প্রথম আইপিএফএফ-২ প্রকল্প থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পেল। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জে ইকোনমিক জোন নির্মাণের জন্য মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন লিমিটেডকে অর্থায়নের বিপরীতে প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী ছয়টি পিএফআই যথা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স কোম্পানি লিমিটেড, ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের মাধ্যমে সিন্ডিকেশন প্রক্রিয়ায় ২৮২ লাখ ৫৬ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেওয়া হয়েছে। লভ্যাংশে ফিরল এবি, না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের যাযাদি রিপোর্ট পরপর দুই বছর শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দিয়ে 'জেড' গ্রম্নপে চলে যাওয়া এবি ব্যাংক অবশেষে ২০১৯ সালের ব্যবসার ওপর লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যাংক খাতের অপর প্রতিষ্ঠান আইসিবি ইসলামী ব্যাংক আগের মতোই লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে। লোকসানে নিমজ্জিত ব্যাংকটি সর্বশেষ কবে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিয়েছে সে সংক্রান্ত তথ্যও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে নেই। লভ্যাংশের বিষয়ে ব্যাংক দুটির পরিচালনা পর্ষদের নেওয়া সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই জানিয়েছে, ২০১৯ সালের সমাপ্ত বছরের জন্য এবি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। লভ্যাংশের বিষয়ে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের নেওয়া সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ হয়েছে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর। রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ আগস্ট। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি সমন্বিত শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) করেছে ১৬ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৬৯ পয়সা। একসময় দেশের বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় ব্যাংকটি সমস্যায় জর্জরিত হয়ে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।