৩৫ হাজার টাকা প্রিমিয়াম দিয়ে সোয়া লাখ টাকা

প্রকাশ | ০৩ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্সু্যরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এস এম নুরুজ্জামান গ্রাহকের নমিনি মোসা. ফিরোজার (গ্রাহকের স্ত্রী) হাতে বিমা দাবির চেক তুলে দেন -যাযাদি
অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ২০১৭ সালে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্সু্যরেন্স থেকে বিমা পলিসি করেন দিনমজুর আবদুল হালিম। কিন্তু ভাগ্যের নিষ্ঠুর পরিহাসের শিকার হয়ে বিমা পলিসির মেয়াদ তিন বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই না-ফেরার দেশে পাড়ি জমান আবদুল হালিম। মৃতু্যর আগে ১২ বছর মেয়াদি বিমা পলিসির বিপরীতে ৩৫টি কিস্তির প্রিমিয়াম জমা দেন তিনি। প্রতিমাসে এক হাজার টাকা করে মোট জমা হয় ৩৫ হাজার টাকা। ৩৫ কিস্তির প্রিমিয়ামের টাকা জমা দেওয়ার পর এই গ্রাহকের মৃতু্য হওয়ায় পলিসির শর্তানুযায়ী বিমা কোম্পানি তার নমিনিকে পরিশোধ করেছে এক লাখ ১৪ হাজার ৯৩০ টাকা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাড্ডায় কোম্পানির মডেল সার্ভিস সেন্টারে অনুষ্ঠান করে জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্সু্যরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এস এম নুরুজ্জামান গ্রাহকের নমিনি মোসা. ফিরোজার (গ্রাহকের স্ত্রী) হাতে বিমা দাবির চেক তুলে দেন। এ বিষয়ে এস এম নুরুজ্জামান বলেন, আবদুল হালিম আমাদের গ্রাহক ছিলেন। ১২ বছর মেয়াদি বিমা পলিসির বিপরীতে ৩৫ কিস্তিতে ৩৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে মারা যান তিনি। আমরা পলিসির শর্তানুযায়ী গ্রাহকের নমিনিকে দাবির টাকা পরিশোধ করেছি। তিনি বলেন, বিমা হলো ভবিষ্যৎ আর্থিক অনিশ্চয়তার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া অন্যতম হাতিয়ার। একজন মানুষ অনেক আশা নিয়ে বিমা পলিসি করেন। এসব বিষয় মাথায় রেখে আমরা গ্রাহকের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। তিনি আরও বলেন, গ্রাহকরা যাতে কোনোভাবেই প্রতারিত না হন সে বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকি এবং প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাই করে দ্রম্নত বিমা দাবির টাকা পরিশোধ করি। চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানির ডিএমডি মো. সাইফুল ইসলাম, কোম্পানি সচিব আবদুর রহমান, ডিজিএম মো. নিজাম উদ্দিন, এসইভিপি মো. আবু জাফর প্রমুখ।