আইসিএবির কনফারেন্সে বক্তারা

করোনার সুযোগে হিসাবমান লঙ্ঘনের প্রবণতা বাড়ছে

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
কোভিড-১৯ এর কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের মধ্যে হিসাবমান লঙ্ঘনের প্রবণতা বাড়ছে। অথচ উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে যে কোনো ক্রান্তিকালীন পরিস্থিতিতে কঠোরভাবে আইন ও অনুশাসন মেনে চলা হয়ে থাকে। শনিবার ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) আয়োজিত আর্থিক প্রতিবেদন ও গুণগত নিরীক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক এক ভার্চুয়াল কনফারেন্সে বক্তারা এসব কথা বলেন। কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) চেয়ারম্যান সিকিউকে মুসতাক আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিএবির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ফারুক। সেশন চেয়ারম্যান ছিলেন আইসিএবির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইসিএবির টেকনিক্যাল ডিরেক্টর মাহবুব আহমেদ সিদ্দিকী। এফআরসির চেয়ারম্যান সিকিউকে মুসতাক আহমেদ বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আর্থিক খাতে বৈপস্নবিক পরিবর্তন আসছে। সামনের দিনগুলোতে প্রকৃতপক্ষে কী হতে যাচ্ছে, সেটা আমরা কেউই বলতে পারছি না। তাই আমাদের সবাইকে কোভিড-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৈরি থাকতে হবে। কোম্পানির স্বাধীন পরিচালকরা মোটেই স্বাধীন নয় উলেস্নখ করে এফআরসির চেয়ারম্যান বলেন, তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া কীভাবে হয়, সেটা আমাদের অজানা নয়। অথচ আর্থিক প্রতিবেদনের মানোন্নয়ন ও গুণগত নিরীক্ষা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে স্বাধীন পরিচালকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, কোম্পানির অভ্যন্তরীণ ও বহিঃনিরীক্ষকের মধ্যে সম্পর্কগত ঘাটতি রয়েছে। আর্থিক প্রতিবেদন ও গুণগত নিরীক্ষার মানোন্নয়নে এ ঘাটতি দূর করতে হবে। অনিয়মের ক্ষেত্রে শাস্তির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হলেও এটিই একমাত্র সমাধান নয়। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মধ্যে ঘাটতি দূর করার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। আইসিএবির পক্ষ থেকে যৌথ কমিটি গঠনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব কমিশনের কাছে পাঠানো হলে সেটি বিবেচনা করা হবে বলে জানান তিনি।