এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে বেড়েছে ঋণ আমানত প্রবাসী আয়

প্রকাশ | ০৮ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশের সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিচ্ছে এজেন্ট ব্যাংকিং। ফলে ব্যাংকের শাখা না থাকা সত্ত্বেও মিলছে সেবা। বাড়তি চার্জও লাগছে না। ব্যাংকে টাকা জমা ও উত্তোলন করতে পারছেন গ্রাহক। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থও সহজে পৌঁছে যাচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। ঋণও পাচ্ছেন অনেকে। এতে করে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এজেন্ট ব্যাংকিং। বেড়েই চলছে গ্রাহক সংখ্যা। দেশে কার্যক্রম শুরুর মাত্র সাত বছরেই এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৫ লাখ। এসব গ্রাহক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় জমা করেছেন সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি আমানত। বছরের ব্যবধানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ১৭২ শতাংশ, আমানত বেড়েছে ১২৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ, ঋণ বিতরণ বেড়েছে ২২০ দশমিক ৩৩ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং বিষয়ে ২০২০ সালের মার্চ প্রান্তিকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, বিশ্বে প্রথম এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয় ব্রাজিলে। আর বাংলাদেশে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হয় ২০১৪ সালে। এর আগে ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর এজেন্ট ব্যাংকিং নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ব্যাংক এশিয়া পাইলট প্রকল্প হিসেবে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় প্রথম এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত মোট ২৬টি বাণিজ্যিক ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্স পেয়েছে। এর মধ্যে ২২টি ব্যাংক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যেসব ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং কর্মকান্ড পরিচালনা করছে সেগুলো হলো ডাচ-বাংলা, ব্যাংক এশিয়া, আল-আরাফাহ? ইসলামী, সোশ্যাল ইসলামী, মধুমতি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, এনআরবি কমার্শিয়াল, স্ট্যান্ডার্ড, অগ্রণী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, মিডল্যান্ড, দ্য সিটি, ইসলামী ব্যাংক, প্রিমিয়ার, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল, এবি ব্যাংক, এনআরবি, ব্র্যাক ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক। ২০২০ সালের মার্চ শেষে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংকের ৬৪ লাখ ৯৭ হাজার ৪৫১ জন গ্রাহক হিসাব খুলেছেন। এসব হিসাবে জমাকৃত অর্থের স্থিতি দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৫৩৫ কোটি ৪ লাখ টাকা। বছরের ব্যবধানে গ্রাহক বেড়েছে ১২৩.৫৪ শতাংশ এবং আমানত বেড়েছে ১২৮.৫৫ শতাংশ। ২০১৯ সালের মার্চ শেষে গ্রাহক ছিল ২৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৫ জন এবং জমাকৃত অর্থের স্থিতি ছিল তিন হাজার ৭৩৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা।