ডিএসই ৬ লাখ নয় ৫ কোটি টাকায় ট্রেক বিক্রি করতে চায়

প্রকাশ | ১০ জুলাই ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মাত্র ৬ লাখ টাকা দিয়েই ট্রেক বা শেয়ারবাজারে লেনদেন মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক হওয়ার সুযোগ রেখে 'ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট বিধিমালা ২০২০' গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ ৫ কোটি টাকায় ট্রেক বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শেয়ারহোল্ডার ও স্বতন্ত্র পরিচালকদের সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ট্রেক পাওয়ার জন্য গেজেটে নিবন্ধন ফি, আবেদন ফি, কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন, জামানতের জন্য যে টাকার অঙ্ক নির্ধারণ করা হয়েছে তা বাড়ানোর জন্য ডিএসই থেকে আবেদন করা হবে। ডিএসইর পরিচালকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ট্রেক পেতে আবেদন করা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা হতে হবে, যা প্রকাশিত গেজেটে ৩ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ট্রেক পেতে আবেদন করা ফর্মের মূল্য হবে ১০ লাখ টাকা, যা গেজেটে ১ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর নিবন্ধন ফি হবে ৫ কোটি টাকা, যা গেজেটে ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ট্রেক হলো শেয়ারবাজারে লেনদেনের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান। যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারের লেনদেন করবেন। এ হিসেবে ট্রাক অনেকটাই ব্রোকার হাউসের মতো। তবে ট্রেকের মালিকরা ব্রোকারেজ হাউসের মতো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার পাবেন না। গত ২৪ মার্চ 'ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট বিধিমালা ২০২০' খসড়া করে তা জনমত যাচাইয়ের জন্য মতামত চায় বিএসইসি। এ খসড়া চূড়ান্ত করতে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে মতামত চাওয়া হয়। মতামতে খসড়ার কোনো বিষয়ে আপত্তি বা পরামর্শ থাকলে তা জানাতে বলা হয়। এ খসড়ায় বলা হয়, এক্সচেঞ্জের প্রত্যেক প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডার ডিমিউচু্যয়ালাইজেশন আইনের আওতায় একটি করে ট্রেক (ব্রোকারেজ হাউজ) পাওয়ার অধিকার রাখেন। প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডারদের বাইরে ট্রেক পাওয়ার যোগ্যতার শর্তে রাখা হয়েছে- কোম্পানি, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা কমিশন থেকে অনুমোদন যেসব প্রতিষ্ঠানের পরিশোধিত মূল্যধন ৩ কোটি টাকা বা তার বেশি রয়েছে তারা ট্রেক পাওয়ার যোগ্য হবেন। তবে নিট সম্পদের পরিমাণ সবসময় পরিশোধিত মূলধনের ৭৫ শতাংশের বেশি থাকতে হবে। ট্রেক পাওয়ার জন্য ১ লাখ টাকা ফি দিয়ে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। এই ফি ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে এক্সচেঞ্জ বরাবর জমা দিতে হবে। আবেদন পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করে এক্সচেঞ্জ ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা মঞ্জুর করবে অথবা বাতিল করবে। আবেদন মঞ্জুর হলে নিবন্ধন ফি বাবদ ৫ লাখ টাকা এক্সচেঞ্জ বরাবর ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার করতে হবে।