পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সবুজ অর্থায়ন বা গ্রিন ফিন্যান্স বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু এ খাতে হচ্ছে না কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ। চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে ২ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো, যা আগের প্রান্তিক ডিসেম্বরের চেয়ে ১৫ শতাংশ কম।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের (জানুয়ারি-মার্চ-২০) প্রান্তিকে ব্যাংকগুলোর সবুজ অর্থায়নে বিনিয়োগ করেছে দুই হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা, যা আগের প্রান্তিকের তুলনায় ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর-১৯ প্রান্তিকে এ খাতে ব্যাংকগু?লো ঋণ দি?য়ে?ছিল ৩ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা।
এদি?কে সবুজ অর্থায়নে ব্যাংকগু?লোর ঋণ বিতরণ কমলেও কিছুটা বেড়েছে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ। মার্চ-২০ প্রান্তিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ খা?তে বিনিয়োগ ক?রেছে ২১৪ কোটি টাকা, যা ডিসেম্বর-১৯ প্রান্তিকের চেয়ে ২৫ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে সবুজায়ন বিনিয়োগ ছিল ১৭০ কোটি টাকা।
২০১১ সাল থেকে পরিবেশবান্ধব সবুজ অর্থায়ন বাড়াতে গ্রিন ব্যাংকিং চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন বলা হয়েছিল, মোট ঋণের ৫ শতাংশ সবুজায়নে বিতরণ করতে হবে। ২০১৬ সালে পুনরায় প্রজ্ঞাপন জারি করে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য মোট ফান্ডেড লোনের ৫ শতাংশ পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বেশিরভাগ ব্যাংকই সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। আলোচ্য সময়ে গ্রিন ব্যাংকিংয়ে অংশ নিয়েছে এনআরবি ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, দি এইচএসবিসি লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, সৌদি বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফিন্যান্স ফান্ড লিমিটেড এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড।
উলেস্নখ্য, পরিবেশে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কমাতে শিল্প-কারখানায় সবুজায়ন বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০১১ সালে। তখন থেকেই স্টিল, পেপার, পোশাক, চামড়াসহ বিভিন্ন খাতে পরিবেশবান্ধব ঋণ দিচ্ছে ব্যাংক। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। সূত্র : জাগো নিউজ
Copyright JaiJaiDin ©2021
Design and developed by Orangebd