মহামারিতে উবারের লোকসান ১৮০ কোটি ডলার

প্রকাশ | ০৯ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
গত প্রান্তিকে উবারের লোকসানের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৮০ কোটি ডলার। নভেল করোনাভাইরাস মহামারির ফলে রাইড শেয়ারিং ব্যবসায় পতনে এ আয়ে প্রভাব পড়েছে। খবর এএফপি। সানফ্রান্সিসকোভিত্তিক রাইড শেয়ারিং জায়ান্টটি জানায়, সার্বিক আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৯ শতাংশ কমে ২২০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। লকডাউনের ফলে রাইড বুকিং ৭৫ শতাংশ কমেছে। উবারের প্রান্তিক লোকসানের মধ্যে রয়েছে ৬ হাজার ৭০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের সময় ৩৮ কোটি ২০ লাখ ডলার পুনর্গঠনমূলক ব্যয়। উবার তখন বলেছিল যে বিশ্বব্যাপী তাদের ৪৫টি অফিস বন্ধ করে দেবে বা সমন্বয় করে ফেলবে। আয়-ব্যয়ের এ হিসাব প্রকাশের পর উবারের শেয়ারদর ৪ শতাংশ কমেছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বাদে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের অন্যান্য অংশে উবারের আয় কমেছে। কর্মীদের সঙ্গে এক কনফারেন্স কলে উবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দারা খসরুশাহী বলেন, আমাদের ব্যবসা এবং আমাদের গ্রাহক ও কর্মীদের ওপর মহামারি কেমন প্রভাব রেখেছে, আমরা তা খতিয়ে দেখছি। উবারের ব্যবসায় বৈচিত্র্য চলমান সংকট মোকাবিলায় সহায়তা করতে পারে বলে মনে করেন খসরুশাহী। রাইড শেয়ারিং কমলেও উবার ইটসে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ অর্ডার দিচ্ছে। কভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে লকডাউনের ফলে উবারের রাইড শেয়ারিং ব্যবসা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাইড বুকিং ৭৫ শতাংশ কমায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে মোট আয় ৬৭ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে উবার ইটসের ডেলিভারি বৃদ্ধিতে সেখান থেকে আয় দ্বিগুণ বেড়ে ১২০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের ৫৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার থেকে যা ১০৩ শতাংশ বেশি। খসরুশাহী বলেন, কভিড-১৯ সংকটের ফলে ডেলিভারি সেবা বিলাসিতা থেকে প্রয়োজনীয়তায় দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় বেশকিছু পরিবর্তন এনেছে উবার। যুক্তরাষ্ট্রের ডেলিভারি সেবা প্রতিষ্ঠান পোস্টমেটসের সঙ্গে একটি চুক্তি সম্পন্নের পাশাপাশি জাম্প স্কুটার ও বাইক শেয়ারিং ইউনিট থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি দেশ থেকে বাজার গুটিয়ে নিয়েছে উবার। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রিয়া, চেক রিপাবলিক, মিসর, হন্ডুরাস, ভারত, সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া, পেরু, রোমানিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইউক্রেন ও উরুগুয়ে।