পতনেও বিনিয়োগকারীদের স্বস্তি

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ডুবতে থাকা শেয়ারবাজার টানা ১১ কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর সোমবার কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ডিএসইর প্রধান সূচক নিম্নমুখী হলেও সবকটি সূচক বেড়েছে সিএসইতে। এদিকে টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর শেয়ারবাজারের এই দরপতনকে স্বাভাবিক মূল্য সংশোধন হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, টানা উত্থানের পর কিছুটা মূল্য সংশোধন হওয়া স্বাভাবিক। এছাড়া আইপিও আবেদন করার জন্য অনেকেই শেয়ার বিক্রির হার কিছুটা বাড়িয়েছেন। তবে এটি স্বস্তির মূল্য সংশোধন। আস্থা সংকট আর মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপের পর দেশের পুঁজিবাজার টানা ১১ কার্যদিবসই সূচকের উত্থান ঘটেছে। এ উত্থানে ডিএসইর প্রধান সূচক ৪৭৫ পয়েন্ট বেড়েছে। সোমবার লেনদেনের শুরুতে লেনদেনে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। প্রথম ১০ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু এরপর বিক্রির চাপ বাড়ায় নিম্নমুখী হয়ে পড়ে সূচক। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫৩৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সম্প্রতি কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার ফলে বাজারে টানা উত্থান প্রবণতা দেখা যায়। টানা উত্থানের পর কিছুটা মূল্য সংশোধন হওয়া স্বাভাবিক। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এদিকে প্রধান সূচক কমলেও বেড়েছে ডিএসইর অপর দুই সূচক। এর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫৪৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্‌ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১১১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২১৭টির। আর ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এই মূল্য সংশোধনের দিনে লেনদেনের পরিমাণও কিছুটা কমেছে। তবে ডিএসইতে হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৮ কোটি ৮ লাখ টাকা। যা আগের দিন ছিল ১ হাজার ১২৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এ হিসাবে লেনদেন কমেছে ৮০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক ৭ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ৫৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৮৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে ১৪৪টির দাম কমেছে এবং ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।