দ্রম্নত ঘুরে দাঁড়াবে দেশের অর্থনীতি

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
করোনায় অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলা করে বাংলাদেশ দ্রম্নত বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ঘুরে দাঁড়াবে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের মাধ্যমে ইতোমধ্যে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। দেশের ব্যবসায়ীরা আত্মবিশ্বাসী। অচিরেই এর সুফল ভোগ করবে বাংলাদেশ। বিদেশি খাতের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের বৈশ্বিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে চলতি বছরের ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে করে ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা অবস্থা চলে আসে। এক ধরনের অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়। স্টান্ডার চার্টার্ড ব্যাংকের আশিয়ান অঞ্চলের প্রধান অর্থনীতিবিদ এডওয়ার্ড লি জানান, এখন বাংলাদেশ ব্যবসায় অনিশ্চয়তা কাটিয়ে উঠেছে। আশিয়ান ও দক্ষিণ এশিয়ার দুটি দেশ ২০২০ সালে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারবে। এর মধ্যে একটি বাংলাদেশ। তিনি বলেন, সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ার পর অর্থনৈতিক চাকা ঘুরতে শুরু করেছে। মানুষের মনে আস্থা ফিরেছে। কেনাবেচা বেড়েছে। এসবের ওপর ভর করেই অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের অর্থনীতিবিদ সৌরভ আনন্দ বলেন, কোন খাতের ওপর ভর করে অর্থনীতি এগিয়ে যাবে, এটি সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। তবে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরে আসা; সরবরাহ ব্যবস্থা চালু থাকাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের গবেষণার প্রধান দিব্য দেবেশ বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচক ভালো রয়েছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। ফলে আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশের চিন্তার কিছু নেই। অন্যদিকে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ কম। এটা বাংলাদেশের জন্য একটি স্বস্তির খবর। কারণ, মহামারি মোকাবিলায় অনেক টাকার প্রয়োজন। বাংলাদেশ এই অর্থ জোগানে বিদেশি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ নিতে পারবে। তবে বৈশ্বিক পরিস্থিতি ইউরোপ-আমেরিকার অর্থনীতির ওপর নির্ভর করছে বলে মনে করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড।