বড় উত্থানেই রয়েছে শেয়ারবাজার

একের পর এক টানা বড় উত্থান হচ্ছে শেয়ারবাজারে। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের টানা উত্থান অব্যাহত রয়েছে। এর মাধ্যমে শেষ ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে ১৩ কার্যদিবসই শেয়ারবাজারে মূল্যসূচকের উত্থান হলো। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক টানা বেড়ে ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে উঠে এসেছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শুরুতে একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়তে থাকে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের এই দাম বাড়ার প্রবণতা লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ২০৪টি প্রতিষ্ঠান দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩০টির এবং ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ায় লেনদেনের শুরুতেই বড় উত্থানের আভাস দেয় মূল্যসূচক। প্রথম ১০ মিনিটের লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেন শেষ সূচকটি ৬৯ পয়েন্ট বেড়ে চার হাজার ৭০৩ পয়েন্টে উঠে এসেছে। এর মাধ্যমে শেষ ১৪ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বাড়ল ৬৩২ পয়েন্ট। এই বড় উত্থানের কারণে সূচকটি চলতি বছরের ২০ ফেব্রম্নয়ারির পর সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে আসল। প্রধান মূল্যসূচকের পাশাপাশি উত্থান হয়েছে অপর দুই সূচকের। এর মধ্যে বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১২ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৫৯৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্‌ সূচক দশমিক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৮৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান মূল্যসূচকের বড় উত্থানের দিনে ডিএসইতে লেনদেনের গতিও বেড়েছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ২০৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় এক হাজার ১২০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এই হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৮৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির ৫২ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৪৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৩৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে এর পরের স্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, নাহি অ্যালুমিনিয়াম, গ্রামীণফোন, আইএফআইসি ব্যাংক, বারাকাত পাওয়ার এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১৯৫ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৯২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৯৯টির এবং ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।