পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশকে টপকে ভিয়েতনাম

প্রকাশ | ১৬ আগস্ট ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনাম। বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় স্থান দখল করতে কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে দেশটি। সেটি করতে না পারলেও করোনায় খানিকটা এগিয়েছে ভিয়েতনাম। তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের পথম পাঁচ মাসে (জানুয়ারি-মে) বাংলাদেশ ৯৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। অন্যদিকে ভিয়েতনাম রপ্তানি করেছে ১ হাজার ৫০ কোটি ৯১ ডলারের পোশাক। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডবিস্নউটিও) 'ওয়ার্ল্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ ২০২০' প্রতিবেদন অনুযায়ী, পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দ্বিতীয়। আর চীন শীর্ষে। নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, 'সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে ভিয়েতনাম ৩ হাজার ৯১ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। আর আমরা রপ্তানি করেছি ২ হাজার ৭৯৫ কোটি ডলারের পোশাক। সেই হিসাবে আমরা কিছুটা পিছিয়ে গেছি। তবে শিগগিরই আমরা আবার ঘুরে দাঁড়াব।' বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানিপণ্য বর্তমানে একটি দুর্দিন পার করছে। একদিকে কারখানা বন্ধ হচ্ছে, শ্রমিকরা চাকরি হারাচ্ছেন আর অন্যদিকে রপ্তানি কমে যাচ্ছে। উদ্যোক্তারা বলছেন, বিভিন্ন কারণে যেমন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির কারণে কারখানায় উৎপাদন খরচ অনেক বেড়েছে। তারা আরও বলেন, উৎপাদনে দক্ষতার অভাব এবং ব্যবসায় অতিরিক্ত ব্যয় বাড়ার কারণে বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাচ্ছে। তারা মনে করেন, বাংলাদেশ এখনো গুটিকয়েক আইটেম এবং অল্প সংখ্যক বাজারে পোশাক রপ্তানি করছে। বাংলাদেশের পোশাক এবং বাজারের বৈচিত্র্য কম। রপ্তানি বাড়ানোর ক্ষেত্রে এগুলো অন্যতম বাধা। সংশ্লিস্টরা বলছেন, রপ্তানির ভবিষ্যৎ গতিপ্রকৃতি নিয়ে ধারণা দেওয়াটা আসলে কঠিন। কারণ, বৈশ্বিক বাজার খুবই অস্থির। 'উদীয়মান অনলাইন কেনাবেচা প্রচলিত ব্যবসার ক্ষেত্রে বড় ধরনের বিপর্যয় নিয়ে আসবে। এর মধ্যে যদি উদ্যোক্তরা নিজেদের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে না পারেন তাহলে প্রতিযোগী দেশগুলোর সঙ্গে টিকতে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।