আজকের যায়যায়দিন

করোনা চলে যাবার ধারণা করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা জার্মানির ফ্রাংকফুর্টে ১৯-২৩ ফেব্রম্নয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে এ মেলায় অংশগ্রহণ করতে চায় বাংলাদেশ। তাই মেলায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন আহ্বান করেছে রপ্তানি উন্নয়ন বু্যরো (ইপিবি)। ইপিবি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে ইপিবি জানায়, ২০২১ সালের ১৯-২৩ ফেব্রম্নয়ারি জার্মানির ফ্রাংকফুর্টে অনুষ্ঠিতব্য 'ফ্রাংকফুর্ট ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ার' শীর্ষক মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের জন্য ৭৫ বর্গমিটার জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জয়েন্ট স্ট্যান্ডের ক্ষেত্রে আয়তন কমপক্ষে ১৫ বর্গমিটার ও একক স্ট্যান্ডের আয়তন ১৮ বর্গমিটার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এতে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতির উদ্দেশে বলা হয়, উক্ত মেলায় অংশগ্রহণে আপনার সমিতিভুক্ত সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহ বা প্রতিষ্ঠান আগ্রহী হলে প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্রাদিসহ বু্যরোর নির্ধারিত ছক মোতাবেক আবেদনপত্র আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইপিরির মেলা বিভাগে দাখিলের জন্য অনুরোধ করা হলো।

আবেদনপত্র বু্যরোর ওয়েবসাইট থেকে (িি.িবঢ়ন.মড়া.নফ) ডাউনলোড করা যাবে। রপ্তানি আয়ের সক্ষমতা অনুযায়ী আগ্রহী অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে বুথ মূল্যের ওপর ভর্তুকি প্রদান করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমছেই

ইপিবি আরও জানায়, আবেদনপত্রের সঙ্গে ট্রেড লাইসেন্স, ইআরসি, আয়কর ও ভ্যাট সার্টিফিকেট, অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধির পাসপোর্ট কপি, অন্যান্য দেশ ভ্রমণের ভিসা কপি, রপ্তানি আয়ের সমর্থনে সর্বশেষ অর্থবছরের পিআরসি অবশ্যই দাখিল করতে হবে।

এতে বলা হয়, কোভিড-১৯-এর কারণে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকলে আয়োজক কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মেলাটিতে অংশগ্রহণ বাতিল করা হবে। সংশ্লিষ্ট দেশের ভিসা ইসু্য সম্পূর্ণই দূতাবাসের নিজস্ব বিবেচনা বিধায় কোনো কারণে কোনো প্রতিনিধি ভিসাপ্রাপ্ত না হলে ইপিবির ওপর দায়-দায়িত্ব বর্তাবে না। কোনো প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হওয়ার পর কোনো কারণে মেলায় অংশগ্রহণ না করলে অংশগ্রহণ ফি ফেরতযোগ্য নয়।

তবে কোনো আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানকে মনোনীত করা না হলে তাদের অংশগ্রহণ ফি বাবদ দাখিলকৃত পে-অর্ডার ফেরত দেয়া হবে বলে জানায় ইপিবি।