বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জাপান এশিয়ার সর্ববৃহৎ বিনিয়োগ করবে বাংলাদেশে

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বাণিজ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের আড়াইহাজার স্পেশাল ইকোনমিক জোনে জাপান বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে-এ বিনিয়োগ হবে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড়। একই সঙ্গে বাংলাদেশে অটোমোবাইল কারখানা স্থাপনের চিন্তাভাবনা করছে।

বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবনের অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীকে এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, 'জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নের বড় অংশীদার। জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায়। তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে আরও বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করলে জাপানে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে।'

বাংলাদেশ ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। এরপর পাঁচ বছর চলমান বাণিজ্য-সুবিধা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। এগুলোতে জাপান বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। এখানে বিনিয়োগে বাংলাদেশ আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদানের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। জাপানের তৈরি গাড়ির বড় বাজার বাংলাদেশ। জাপান বাংলাদেশে গাড়ি তৈরির কারখানা স্থাপন করলে তা লাভজনক হবে।'

এ সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত বাণিজ্যমন্ত্রীকে জানান, জাপান বাংলাদেশে অটোমোবাইল কারখানা স্থাপনের চিন্তা করছে। বাংলাদেশের আড়াইহাজার স্পেশাল ইকোনমিক জোনে জাপান বড় ধরনের বিনিয়োগ করবে- এ বিনিয়োগ হবে এশিয়ার মধ্যে বৃহৎ।

ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, 'জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৪ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরও জাপান বাংলাদেশকে দেওয়া বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার চিন্তা করছে। এ জন্য এফটিএ অথবা পিটিএ করা যেতে পারে। জাপানের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। উভয় দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রম্নপ গঠন করা যেতে পারে। জাপানে দক্ষ শ্রমিকের প্রচুর চাহিদা আছে। বাংলাদেশ এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রম্নত এগিয়ে যাচ্ছে।'

উলেস্নখ্য, বাংলাদেশ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জাপানে ১৩৬৫.৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১২০০.৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। একইভাবে বাংলাদেশ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জাপান থেকে ১৮৫২.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে ১২৯৪.৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে।

এ সময় বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে তার সরকারি বাসভবনের অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত রীভা গাঙ্গুলী বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তারা উভয় দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<110883 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1