পোশাক খাতের অস্বস্তি ইআরকিউ ফান্ডের উৎসে কর

প্রকাশ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
রপ্তানি উন্নয়নের লক্ষ্যে এক্সপোর্টার রিটেনশন কোটা (ইআরকিউ) ফান্ড থেকে বিভিন্ন ব্যয়ের বিপরীতে ২০ শতাংশ উৎসে আয়কর কেটে রাখছে ব্যাংক। এটি পোশাক খাতের রপ্তানি উন্নয়নের জন্য বড় বাধা হিসেবে দেখছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। এ কারণে ইআরকিউ ফান্ড থেকে রপ্তানি উন্নয়নের জন্য যেসব ব্যয় হয় তার বিপরীতে উৎসে আয়কর না কাটার দাবি জানিয়েছেন পোশাক রপ্তানিকারকরা। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) থেকেও সম্প্রতি একই দাবি জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যার অনুলিপি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকেও দেয়া হয়েছে। সূত্র : জাগো নিউজ পোশাক রপ্তানির সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, ইআরকিউ ফান্ডের অর্থ ব্যয় হয় রপ্তানি উন্নয়নের লক্ষ্যে। কোনো ব্যক্তিগত খরচের জন্য ইআরকিউ ফান্ডের অর্থ ব্যয় হয় না। কমপস্নায়েন্স অডিট ফি, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ক্রয়ের ক্ষেত্রে ইআরকিউ ফান্ড থেকে অর্থ পরিশোধ হয়। রপ্তানি উন্নয়নের লক্ষ্যে এসব ব্যয় হলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী, এ ব্যয়ের বিপরীতে ব্যাংক ২০ শতাংশ উৎসে আয়কর কেটে রাখে, যা পোশাক খাতের রপ্তানি উন্নয়নের জন্য একটি বড় বাধা। বর্তমান পরিস্থিতিতে রপ্তানিমুখী একটি শিল্পকে টিকিয়ে রাখাই কষ্টকর। সেখানে এ ধরনের বাড়তি ব্যয় সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এদিকে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে রপ্তানির বৃহৎ স্বার্থে ইআরকিউ ফান্ড থেকে রপ্তানি উন্নয়নের জন্য যে ব্যয় হয়, তার বিপরীতে উৎসে আয়কর না কাটার জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির পক্ষ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বিজিএমইএ। বিজিএমই'র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালামের সই করা এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, 'রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানি কার্যক্রম থেকে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার একটি নির্দিষ্ট অংশ ইআরকিউ ফান্ডে জমা রাখা হয়। অনেক ক্ষেত্রে রপ্তানি উন্নয়নের জন্য ইআরকিউ ফান্ড থেকে বিভিন্ন ব্যয় সম্পাদন হয়।' 'যেমন- বিদেশি ব্র্যান্ড ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী তাদের মনোনীত নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্বারা প্রতি বছর কারখানা প্রতিষ্ঠানের কমপস্নায়েন্স অডিট কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হয় এবং অডিট ফি ইআরকিউ ফান্ড থেকে বৈদেশিক মুদ্রার মাধ্যমে পরিশোধ হয়। এসব অডিট কার্যক্রম সম্পন্ন না হলে ক্রেতা কর্তৃক রপ্তানি আদেশ প্রদান করা হয় না' বলে চিঠিতে উলেস্নখ করা হয়েছে।