শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সংক্ষেপ

নতুনধারা
  ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে বাংলাদেশ ফাইন্যান্স

যাযাদি রিপোর্ট

গত সপ্তাহজুড়ে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের কাছে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চাহিদার শীর্ষে ছিল আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমেটেড। ফলে সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এই কোম্পানিটির শেয়ার মূল্যে বড় ধরনের উত্থান ঘটেছে।

শেয়ার মূল্যে বড় ধরনের উত্থান হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৫ কোটি ৩৫ লাখ ২২ হাজার টাকা। আর প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৩৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এদিকে কোম্পানিটির শেয়ার দাম সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ৪ টাকা ৬০ পয়সা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ২০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ১১ টাকা ৬০ পয়সা।

কোম্পানিটির শেয়ারের এমন দাম বাড়ার পেছনে গত সপ্তাহে লভ্যাংশের ঘোষণা আসা বড় প্রভাব ফেলেছে। লভ্যাংশের ক্ষেত্রে বোনাস শেয়ারনির্ভর কোম্পানিটি ২০১৯ সালের সমাপ্ত বছরের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দীর্ঘদিন পর নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কোম্পানিটির শেয়ারের প্রতি একশ্রেণির বিনিয়োগকারী বেশ আগ্রহ দেখান।

বৈশ্বিক খাদ্যমূল্য ছয় মাসে সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছে

যাযাদি ডেস্ক

গত আগস্টে বৈশ্বিক খাদ্যমূল্য ছয় মাসের সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে টানা তিন মাসের মতো খাদ্যমূল্য বেড়েছে। বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। খবর আনাদোলু।

এফএও বলছে, খাদ্যমূল্য সূচক মাসওয়ারি ২ শতাংশ বেড়ে ৯৬ দশমিক ১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে চিনি ও ভেজিটেবল অয়েলের। এছাড়া খাদ্যশস্যের দামও কিছুটা বেড়েছে। অন্যদিকে মাংস ও ডেইরি পণ্যের দাম প্রায় জুলাইয়ের মতোই ছিল।

খাদ্যপণ্যকে পাঁচটি গ্রম্নপে বিভক্ত করে খাদ্যমূল্য সূচক রেখে থাকে এফএও ফুড প্রাইস ইনডেক্স। গত আগস্টে চিনির মূল্য সূচক ছিল ৮১ দশমিক ১ পয়েন্ট, যা আগের মাস থেকে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে।

ইইউসহ দ্বিতীয় শীর্ষ চিনি রপ্তানিকারক দেশ থাইল্যান্ডে আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় চিনির দাম মাসওয়ারি বেড়েছে।

আগস্টে ডেইরি পণ্যের গড় মূল্যসূচক ছিল ১০২ পয়েন্ট, যা অনেকটা জুলাইয়ের সমান। ভেজিটেবল অয়েলের মূল্য সূচক আগস্টে দাঁড়িয়েছে ৯৮ দশমিক ৭ পয়েন্ট, যা মাসওয়ারি বেড়েছে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২০ সালের জানুয়ারির পর থেকে এটা সর্বোচ্চ। খাদ্যশস্যের (সিরিয়াল) মূল্য সূচক আগস্টে দাঁড়িয়েছে ৯৮ দশমিক ৭ পয়েন্ট, যা জুলাই থেকে ১ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। প্রধান খাদ্যশস্যের মধ্যে সরগাম, যব, ভুট্টা ও চালের দাম সর্বোচ্চ বেড়েছে বলে জানায় এফএও।

মাংসের মূল্য সূচক আগস্টে ছিল ৯৩ দশমিক ২ পয়েন্ট, যা জুলাইয়ের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে।

মহামারিতেও ভারতে স্বর্ণ আমদানি

বেড়ে দ্বিগুণ

যাযাদি ডেস্ক

করোনা মহামারির কারণে বছরের শুরু থেকে বেশিরভাগ সময় ভারতের স্বর্ণ শিল্প বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে সময় পার করেছে। তবে মহামারি পরিস্থিতির অবনতি হলেও চলতি বছরের আগস্টে দেশটিতে মূল্যবান ধাতুটির আমদানি বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে আট মাসের সর্বোচ্চে উঠেছে। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দিলিস্নর জুয়েলারি দোকানগুলোয় স্বর্ণের চাহিদা আগের তুলনায় বেড়েছে। একই সঙ্গে ভারতীয়দের মধ্যে স্বর্ণে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়তে শুরু করেছে। মূলত এসব কারণে আগস্টে ভারতের বাজারে মূল্যবান ধাতুটির চাহিদা বেড়ে আমদানি চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। তবে চলতি অর্থবছরে দেশটি থেকে মূল্যবান রত্নপাথর ও জুয়েলারি রপ্তানি ২৫-৩০ শতাংশ কমার সম্ভাবনা রয়েছে। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ও রয়টার্স।

স্বর্ণের ভোক্তা ও আমদানিকারক দেশগুলোর বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। দেশটির সরকারি সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, চলতি বছরের আগস্টে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ভারতীয় আমদানিকারকরা সব মিলিয়ে ৬০ টন স্বর্ণ আমদানি করেছেন। আগের বছরের একই সময়ে দেশটিতে মোট ৩২ দশমিক ১০ টন স্বর্ণ আমদানি হয়েছিল। সেই হিসাবে, এক বছরের ব্যবধানে ভারতের বাজারে স্বর্ণ আমদানি বেড়েছে ২৭ দশমিক ৯ টন। গত আট মাসের মধ্যে আগস্টে মূল্যবান ধাতুটির আমদানি সবচেয়ে বেশি হয়েছে।

চলতি বছরের আগস্টে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৬০ টন স্বর্ণ আমদানিতে ভারতীয় আমদানিকারকদের সব মিলিয়ে ৩৭০ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স। ২০১৯ সালের একই সময়ে স্বর্ণ আমদানিতে ভারতীয় আমদানিকারকরা মোট ১৩৭ কোটি ডলার ব্যয় করেছিলেন। সেই হিসাবে, এক বছরের ব্যবধানে মূল্যবান ধাতুটির আমদানিতে ভারতীয় আমদানিকারকদের ব্যয় বেড়েছে ২৩৩ কোটি ডলার।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন কঠোর লকডাউনের মধ্যে ছিল ভারত। ওই সময় দেশটিতে স্বর্ণের দোকানগুলো বন্ধ ছিল। সাধারণ মানুষের মধ্যেও স্বর্ণ কেনার আগ্রহ ছিল কম। এখন করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলেও অর্থনীতি রক্ষার স্বার্থে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<111102 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1