অফশোর ব্যাংকিংয়ে আগ্রহ বেড়েছে ব্যবসায়ীদের

প্রকাশ | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
কম সুদ হওয়ায় ব্যাংকের অফশোর ইউনিটের ঋণের দিকে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা। তিন মাসে ব্যাংকের অফশোর ইউনিটে ঋণ বেড়েছে তিন হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুন শেষে অফশোর ইউনিটের মাধ্যমে বিতরণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৬৩ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা জানান, অফশোর ব্যাংকিংয়ে ঋণের সুদহার ৬ শতাংশেরও নিচে। স্থানীয় মুদ্রার পরিবর্তে বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব হয় অফশোর ব্যাংকিংয়ে। ব্যাংকের কোনো নিয়ম-নীতিমালা অফশোর ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োগ হয় না। কেবল মুনাফা ও লোকসানের হিসাব যোগ হয় ব্যাংকের মূল হিসাবে। এসব কারণেই বাড়ছে অফশোর ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ২০১৯ সালের মার্চ শেষে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ৬০ হাজার ৩১০ কোটি টাকা। তিন মাস পর জুনে এসে তা দাঁড়িয়েছে ৬৩ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে অফশোর ব্যাংকিংয়ের ঋণ বেড়েছে ৩ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা বা ৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। গত বছরের ডিসেম্বরে এ ঋণ ছিল ৬০ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা। অফশোর ব্যাংকিং হলো বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ দেওয়ার জন্য গঠিত ব্যাংকের আলাদা ইউনিট। দেশের বাইরে থেকে তহবিল সংগ্রহ করে রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার জন্য ১৯৮৫ সালে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে ৩৬টি ব্যাংক এই ইউনিট গঠন করে ঋণ বিতরণ করছে। তবে অফশোর ব্যাংকিং চালুর পর গত মার্চে প্রথমবারের মতো ঋণ বিতরণ বৃদ্ধির পরিবর্তে কমে যায়।