টানা আড়াই মাস ঊর্ধ্বমুখী দেশের পুঁজিবাজার

ম টানা ১২ সপ্তাহের এ উত্থানে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৮ পয়েন্ট

প্রকাশ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
টানা আড়াই মাস ঊর্ধ্বমুখী দেশের পুঁজিবাজার। গত সপ্তাহেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে পার করেছে পুঁজিতাজার। দেখা গেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে বেড়েছে সবকটি মূল্য সূচক। সেই সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন। এর মাধ্যমে টানা ১২ সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী থাকল দেশের শেয়ারবাজার। গত সপ্তাহে সূচক ও বাজার মূলধন বাড়লেও গড় লেনদেন কিছুটা কমেছে। এরপরও প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গড়ে প্রতিদিন হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে। গত সপ্তাহে বাজারটিতে গড় লেনদেন কমেছে দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। বিপরীতে ডিএসইর সবকটি সূচক বেড়েছে এক শতাংশের ওপরে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা। বাজার মূলধন বাড়ার অর্থ তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের দাম সম্মিলিতভাবে ওই পরিমাণ বেড়েছ। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা, যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৩ লাখ ৭২ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা। এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮৩ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এর মাধ্যমে টানা ১২ সপ্তাহ সূচকটি বাড়ল। ১২ সপ্তাহের টানা এই উত্থানে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বেড়েছে ১ হাজার ৪৮ পয়েন্ট। প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি টানা ১২ সপ্তাহ বেড়েছে ডিএসইর শরিয়াহ সূচক। শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত এ সূচকটি গত সপ্তাহে বেড়েছে ১৬ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এর মাধ্যমে টানা ১২ সপ্তাহের উত্থানে সূচকটি বাড়ল ২৪০ পয়েন্ট। বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইর আর একটি সূচক ডিএসই-৩০। এ সূচকটি গত সপ্তাহে বেড়েছে ২৪ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এর মাধ্যমে সূচকটি টানা আট সপ্তাহ বাড়ল। টানা আট সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছে ৩৭১ পয়েন্ট। এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২১৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৯টির। আর ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ১ হাজার ৫৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৯০ লাখ টাকা বা দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫ হাজার ২৯৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় ৪ হাজার ২৩৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। সেই হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৫৫ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। আশুরা উপলক্ষে গত সপ্তাহের আগে সপ্তাহে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হওয়ায় মোট লেনদেন বেড়েছে। গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে 'এ' গ্রম্নপ বা ভালো কোম্পানির অবদান ছিল ৭৭ দশমিক ৪২ শতাংশ। এছাড়া 'বি' গ্রম্নপের অবদান ১৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ, 'জেড' গ্রম্নপের ২ শতাংশ এবং 'এন' গ্রম্নপের ১ দশমিক ৭০ শতাংশ অবদান ছিল। গত সপ্তাহে ডিএসইর মূল বাজারে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো, ব্র্যাক ব্যাংক, ওরিয়ন ফার্মা, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স, গ্রামীণফোন, ওরিয়ন ইনফিউশন এবং লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ।