এ বছরেই শুরু হবে আইসিবির পুনর্গঠন প্রক্রিয়া :বিএসইসি চেয়ারম্যান

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) সঠিকভাবে তার কাজ করতে পারছে না। এ কারণে সরকারের নির্দেশে প্রতিষ্ঠানটি পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তথ্য সংগ্রহের পর এ বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকে আইসিবি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম। শনিবার বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) উদ্যোগে আয়োজিত 'টেকসই পুঁজিবাজার : প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি' শীর্ষক এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনূসুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহীম, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট শরীফ আনোয়ার হোসেন এবং এমএমসি অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান ইমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএমবিএর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুজ্জামান। এছাড়া ওয়েবিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বিএমবিএর প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমান ও সিএমজেএফ সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিএমজেএফের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজারে বৈচিত্র্য আনতে হবে। এ বাজারকে অনেক বড় করতে হবে। দৈনিক ১ হাজার কোটি টাকার লেনদেন কোনো লেনদেন নয়। এটিকে দ্রম্নত ৩ থেকে ৫ হাজার কোটিতে নেওয়ার জন্য কাজ করতে হবে। আমরা ইকুইটিভিত্তিক পুঁজিবাজার থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছি। গত সাড়ে তিন মাসে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার সাব-অর্ডিনেট ও পারপিচুয়াল বন্ড এবং সাড়ে ৮০০ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ডের অনুমোদন দিয়েছি। কিছু দুষ্ট লোকের অপকর্মের জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেব না। কাউকে জরিমানা করতে আমাদের ভালো লাগে না। তারপরেও করতে হয়। এর মাধ্যমে আমরা বাজারে একটা মেসেজ দিতে চাই, ভবিষ্যতে অন্যায় করে কেউ ছাড় পাবে না। বিএসইসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমরা যদি শতভাগ সুশাসন নিশ্চিত করতে না পারি, অর্থের নিরাপত্তা দিতে না পারি, রিটার্ন দিতে না পারি তাহলে কেন কেউ আমাদের কথায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ঝুঁকি নেবে। তাই আমরা যদি সবাইকে আস্থায় নিয়ে আসতে পারি তাহলে তারা বিনিয়োগে আসবে। স্বতন্ত্র পরিচালকদের নিয়ে ভবিষ্যতে কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে উলেস্নখ করে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত বলেন, আইনে কাভার করলে কিছু স্বতন্ত্র পরিচালককে সরিয়ে দিতে হতে পারে। তাদের জায়গায় সঠিক স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হবে। এই স্বতন্ত্র পরিচালকদের যে উদ্দেশ্যে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেটা এখনো পূরণ হয়নি। আমরা চলতি সপ্তাহে স্বতন্ত্র পরিচালকদের অনলাইনে আবেদন নেওয়া শুরু করব। যারা যোগ্য হবেন, তাদের নেওয়া হবে। বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পরে যেসব কোম্পানির কার্যক্রম ঠিকভাবে চলছে না, যারা হঠাৎ করে বন্ধ করে চলে গেছেন, যাদের অফিস তালা মারা, যারা বিভিন্নভাবে বিনিয়োগকারীদের ঠকানোর চেষ্টা করেছেন, সেসব কোম্পানির পর্ষদ আমাদের ভেঙে দিতে হতে পারে। সেখানে স্বতন্ত্র পরিচালকদের সংখ্যা বাড়িয়ে স্বচ্ছতা আনতে হবে।