মূল্যস্ফীতির কবলে সুদান অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা

প্রকাশ | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ডলারের বিপরীতে মুদ্রার মানের অভাবনীয় পতন ও ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে সুদান। দেশটির দাপ্তরিক সংবাদ সংস্থা এসএইএনএ জানিয়েছে, সরকারের এ ঘোষণার আওতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি আদালত বসানো হবে। একই সঙ্গে অর্থনীতি রক্ষায় আইন প্রণয়নের পাশাপাশি চোরাকারবারি ও বাড়তে থাকা কালোবাজারের বিরুদ্ধে আরও কঠোর শাস্তির পদক্ষেপ নেওয়া হবে। খবর এএফপি। চলতি বছর ডলারের তুলনায় সুদানিজ পাউন্ডের মান ৫০ থেকে ২৪০-এ নেমে গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বছরওয়ারি জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১৪৩ শতাংশে। এ অবস্থায় সুদানের অর্থমন্ত্রী হেবা আলি অভিযোগ করেন, মুদ্রার মানের এ অবনতির পেছনে 'পদ্ধতিগত নাশকতার' হাত রয়েছে। এক্ষেত্রে মূল কলকাঠি নাড়ছে মুদ্রা বিনিময় বাজারের ম্যানিপুলেটররা। মূলত বেশ আগে থেকেই সুদানের অর্থনীতি সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণেই ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বশিরবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। এ আন্দোলনের ফলে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকার পর গদি ছাড়তে বাধ্য হন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির। কিন্তু দেশটির অর্থনৈতিক সংকট কিছুতেই যেন পিছু ছাড়ছিল না। এরই মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গৃহীত লকডাউন পদক্ষেপ এ সংকট আরও বাড়িয়ে তোলে। সুদান থেকে সেসব পণ্য রপ্তানি হয়, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে স্বর্ণ। ২০১৮ সালে দেশটিতে স্বর্ণ উৎপাদন হয় ৯৩ টন। কিন্তু দামি ধাতুটি বিপুল পরিমাণে চোরাচালানের শিকার হয়। ফলে দেশটির বিচারমন্ত্রী নাসরেদ্দিন আবদেলবারি জানিয়েছেন, সরকার চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করেছে। তাদের কারাদন্ডের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে ১০ বছর পর্যন্ত। এদিকে প্রধানমন্ত্রী আবদালস্না হামদোক বলেছিলেন, সংকটাপন্ন অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে তার সরকারের ৮০০ কোটি ডলার প্রয়োজন। কিন্তু জুনে সুদানের অন্তর্র্বর্তীকালীন কর্তৃপক্ষকে মাত্র ১৮০ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রম্নতি দেয় আন্তর্জাতিক দাতারা।