আজকের যায়যায়দিন

চলতি বছরের আগস্টে ভারতের বাজারে পাম অয়েল আমদানিতে মন্দা ভাব দেখা গেছে। এ সময় দেশটিতে পাম অয়েলের আমদানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৪ শতাংশ কমে সাড়ে সাত লাখ টনের নিচে নেমে এসেছে। মুম্বাইভিত্তিক সলভেন্ট এক্সটাক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (এসইএ) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ও ইকোনমিক টাইমস।

ভারত বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল আমদানিকারক দেশ। এসইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের আগস্টে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ভারতীয় আমদানিকারকরা সব মিলিয়ে ৭ লাখ ৩৪ হাজার ৩৫১ টন পাম অয়েল আমদানি করেছেন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ কম।

চলতি বছর ভারতে সব মিলিয়ে ৯২ লাখ টন পাম অয়েল আমদানির সম্ভাবনা রয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি। এর আগের বছর ভারতের বাজারে সব মিলিয়ে ৯০ লাখ টন পাম অয়েল আমদানি হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ কম। ২০১৮ সালে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ৯৭ লাখ ১০ হাজার টন পাম অয়েল আমদানি হয়েছিল।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারতের হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোয় সবচেয়ে বেশি পাম অয়েল ব্যবহার হয়। যার সিংহভাগ ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে আমদানির মাধ্যমে পূরণ করে দেশটি। চলতি বছর নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীর কারণে টানা লকডাউনে ভারতের রেস্টুরেন্টগুলো দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল।

তীব্র গরমেও এসির মার্কেটে খরা

এ কারণে পাম অয়েলের চাহিদা কমে এসে আমদানিতেও স্থবিরতা দেখা গেছে। এখন লকডাউন শিথিল হয়ে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় গতি ফিরতে শুরু করেছে। ফলে আগামী দিনগুলোয় ভারতে পাম অয়েলের আমদানি বাড়তে পারে।

ভারতীয় আমদানিকারকরা প্রধানত আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকে সয়াবিন তেল ও সূযমুখী তেল আমদানি হয় ভারতে। গত মাসে ভারতে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৫ টন সয়াবিন তেল আমদানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৪ শতাংশ কম। একই সময় দেশটিতে আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৫১৮ টন সূর্যমুখী তেল, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ শতাংশ কম।