সূচকের বড় পতন কমেছে লেনদেন

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এ নিয়ে পরপর দুই কার্যদিবস শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হলো। আর টানা চার কার্যদিবস পতনের মধ্যে থাকল শেয়ারবাজার। এদিন লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে বড় পতনের আভাস পাওয়া যায়। লেনদেনের শুরুতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়। ফলে প্রথম ১০ মিনিটেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৪০ পয়েন্ট কমে যায়। মাঝে সূচক পতনের মাত্রা কিছুটা কমে। তবে শেষদিকে এসে আবার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়। ফলে দিনের লেনদেন শেষে সূচকের বড় পতন হয়। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪২ পয়েন্ট কমে চার হাজার ৯৭০ পয়েন্টে নেমে গেছে। এর আগে সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক ৭৬ পয়েন্ট কমে। যা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ কিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম দায়িত্ব নেয়ার পর সূচকের সব থেকে বড় দরপতন। শেয়ারবাজারের ক্রান্তিকালে গত ১৭ মে বিএসইসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম। দায়িত্ব নেয়ার পর বন্ধ শেয়ারবাজারে ৩১ মে থেকে আবার লেনদেন শুরু করেন। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর শেয়ারবাজারে উত্থান-পতন প্রবণতা চলতে থাকে। ১৭ আগস্ট ডিএসইর প্রধান সূচক ৭৪ পয়েন্ট পড়ে যায়। এরপর ঘুরে দাঁড়ায় শেয়ারবাজার। এক মাসের বেশি সময় ধরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয় শেয়ারবাজারে। তবে গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস থেকে হঠাৎ পতন প্রবণতা দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা চার কার্যদিবস ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি পতনের মধ্যে পড়েছে অপর দুই সূচক। এর মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৭১৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসই শরিয়াহ্‌ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১২৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এর মাধ্যমে এই দুই সূচকও টানা চার কার্যদিবস কমল। সূচকের এই পতনের দিনে ডিএসইতে অংশ নেয়া ৭৫ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ২৫২টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির দাম। বাজারে লেনদেন হয়েছে ৭২৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৯৭৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। সেই হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ২৪৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। টাকার অংকে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ডেলটা বেক্সিমকো ফার্মা। কোম্পানিটির ৩০ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্র্যাক ১৯ কোটি ২৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১৮ কোটি ৯৭ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে বেক্সিমকো, রূপালী ইন্সু্যরেন্স, সিঙ্গার বাংলাদেশ, নিটল ইন্সু্যরেন্স, ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড, বিডি ফাইন্যান্স, নিটল ইন্সু্যরেন্স, পূরবী জেনারেল এবং বিডি ফাইন্যান্স। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৫০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৮১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৩টির দাম বেড়েছে। দাম কমেছে ২০০টির এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।