মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

এক মিনিটেই সর্বোচ্চ দামে ওয়ালটন, বিক্রেতা নেই

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

বৃহস্পতিবার লেনদেনের প্রথম মিনিটেই দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে ওয়ালটন হাইটেক পার্ক। এরপরও প্রাথমিক পণপ্রস্তাব (আইপিও) বিজয়ীরা কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে চাচ্ছেন না। ফলে ক্রেতা থাকলেও বিক্রেতা উধাও অবস্থায় রয়েছে। আইপিওর মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া ওয়ালটন হাইটেক পার্কের বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে। প্রথম দিন পাঁচ মিনিটের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ার ৫০ শতাংশ বেড়ে সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী, লেনদেনের প্রথম দুই দিন কোনো কোম্পানির শেয়ারের দাম ৫০ শতাংশের ওপরে বাড়তে পারবে না।

সে হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবারও কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ার সুযোগ রয়েছে। অবশ্য লেনদেন শুরু হতেই দাম বাড়ার এ সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে ফেলেছে ওয়ালটন।

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথমে ৫৪০ টাকা করে ৭৫টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে। এ দামে কেউ শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। এরপর দফায় দফায় দাম বেড়ে একপর্যায়ে দিনের সর্বোচ্চ দাম ৫৬৭ টাকা করে ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার ৮৩৪টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে।

ওয়ালটনের শেয়ার কিনতে এক শ্রেণির বিনিয়োগকারী হুমড়ি খেয়ে পড়লেও আইপিওবিজয়ীরা কেউ শেয়ার বিক্রি করতে চাচ্ছেন না। ফলে ক্রেতা থাকলেও ওয়ালটনের শেয়ারের বিক্রেতা নেই হয়ে গেছে।

গত ২৩ জুন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশন সভায় কোম্পানিটিকে আইপিওতে শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের ফলে বুক-বিল্ডিং পদ্ধতিতে ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩টি সাধারণ শেয়ার প্রাথমিক পণপ্রস্তাবের মাধ্যমে ইসু্য করছে ওয়ালটন। এর মধ্যে ১৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬৭টি সাধারণ শেয়ার যোগ্য বিনিয়োগকারীরা বিডিংয়ে তাদের প্রস্তাব করা দামে কিনছেন। বাকি ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৬টি সাধারণ শেয়ার ২৫২ টাকা মূল্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীর (অনিবাসী বাংলাদেশিসহ) কাছে বিক্রির জন্য আইপিও আবেদন সংগ্রহ করা হয়। ৯ আগস্ট থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ার পেতে আইপিওতে আবেদন করেন বিনিয়োগকারীরা।

অর্থাৎ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য নির্ধারিত ছিল ৩৯ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার। এই শেয়ার পেতে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩৭৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার আবেদন পড়ে। এ হিসেবে আইপিওতে আবেদন বেশি পড়ে ৯ দশমিক ৫৯ গুণ। যে কারণে আইপিও বিজয়ী নির্ধারণে লটারিতে করতে হয়।

ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ মেটাতে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য গত ৭ জানুয়ারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজকে বিডিংয়ে অংশ নেওয়ার অনুমোদন দেয়।

এ অনুমোদনের ফলে কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণে গত ২ মার্চ বিকাল ৫টা থেকে ৫ মার্চ বিকাল ৫টা পর্যন্ত যোগ্য বিনিয়োগকারীরা বিডিংয়ে অংশ নেন। এ সময়ের মধ্যে বিডিংয়ে অংশ নেন ২৩৩ জন। এসব বিনিয়োগকারী সর্বনিম্ন ১২ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৭৬৫ টাকা করে ওয়ালটনের শেয়ার কেনার জন্য প্রস্তাব দেন।

এর মধ্যে সব থেকে বেশি সংখ্যক যোগ্য বিনিয়োগকারী ওয়ালটনের প্রতিটি শেয়ারের জন্য ২১০ টাকা দাম প্রস্তাব করেন। এই দামে ১৪ জন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক বিনিয়োগকারী দাম প্রস্তাব করেন ১৫০ টাকা করে। এই দামে ১০ জন বিনিয়োগকারী কোম্পানিটির শেয়ার কেনার আগ্রহ দেখান। তবে বিডিংয়ে বরাদ্দকৃত ৬০ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ারের জন্য ৩১৫ টাকার ওপরে বিডিং হয়। ফলে কাট-অফ প্রাইস হিসেবে ৩১৫ টাকা নির্ধারিত হয়েছে। ৩১৫ টাকা বা তার বেশি দামে ওয়ালটনের শেয়ার কেনার আগ্রহ দেখান ৬৭ জন যোগ্য বিনিয়োগকারী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<113257 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1