নানা উদ্যোগের ইতিবাচক প্রভাব শেয়ারবাজারে

প্রকাশ | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় তহবিল সরবরাহের উদ্যোগ আরও কার্যকর করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য অর্থ সংগ্রহের সুদহার কমানো হয়েছে। একইভাবে বন্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগ করার সুযোগ বাড়ানো হয়েছে। যা শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আওতায় প্রতিটি তফসিলি ব্যাংক সর্বোচ্চ ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারবে। এতে বাজারে চাঙ্গা ভাব দেখা দিয়েছে। যা বাজার সংশ্লিষ্টরা ইতিবাচকভাবেই দেখছেন। জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রেপো সুবিধার মাধ্যমে এখন থেকে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে ব্যাংকগুলো। এতদিন সুদহার ছিল ৫ শতাংশ। পাশাপাশি পুঁজিবাজারের ভালো কোম্পানির বন্ড ছাড়তে উৎসাহ দিতে এবং ব্যাংকগুলোর বন্ডে বিনিয়োগ বাড়াতে বিশেষ ছাড় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জানা গেছে, আর্থিক খাতের প্রধান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পুঁজিবাজারে তফসিলি ব্যাংকগুলোর নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগের আইন রয়েছে। দেশের পুঁজিবাজার ও মুদ্রা বাজারের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপনকারী হিসেবে তফসিলি ব্যাংকগুলোর ভূমিকা অনস্বীকার্য। পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে ক্রমাগত তারল্য প্রবাহ বজায় রাখার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পুঁজিবাজার সংক্রান্ত সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান (মার্চেন্ট ব্যাংক ও ডিলার লাইসেন্সধারী ব্রোকারেজ হাউজ) এবং অন্যান্য মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউজকে শুধু পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশে বিশেষ ব্যবস্থায় এ তহবিল নিতে পাবে। আরও জানা গেছে, তফসিলি ব্যাংকগুলো চাইলে নিজস্ব উৎস থেকে তহবিল যোগান দিতে পারে। এছাড়া ধারণকৃত ট্রেজারি বিল বা বন্ড এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রয়োজনীয় তহবিল সংগ্রহ করতে পারে। এছাড়া আরও একটি উপায়ে তহবিল সংগ্রহ করতে পারবে ব্যাংকগুলো। সেটি হলো, প্রথমে নিজ উৎস থেকে তহবিল গঠন করে পরবর্তীতে ট্রেজারি বিল বা বন্ড এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সমপরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। এই তহবিল থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ, ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ এর ২৬ ক ধারায় বর্ণিত বিনিয়োগসীমার অতিরিক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে। যা বাজারে তারল্য প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের চাহিদা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৯০ দিন মেয়াদি রেপো দেওয়া হবে। রেপোর সময়সীমা ২০২৫ সালের ৯ ফেব্রম্নয়ারি পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে পুনঃনবায়নের সুবিধা থাকবে। তবে, এক্ষেত্রে তহবিল ব্যবহারের সক্ষমতার বিষয়টি বিবেচ্য হবে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে বিশেষ তহবিল গঠন এবং বিনিয়োগের নীতিমালা বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে বিশেষ তহবিল গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রেপো সুবিধার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে সুদহার ৫ শতাংশের পরিবর্তে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ হবে। তালিকাভুক্ত কর্পোরেট বন্ড/ডিবেঞ্চারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নূ্যনতম সুদহার ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা আছে। ভালো কোম্পানিগুলো বন্ড বাজারে আনলে কম সুদে বিনিয়োগ করতে পারবে। সম্পদভিত্তিক বন্ড বা সুকুকের বিনিয়োগের সুদহার আগে নির্ধারিত ছিল না। এখন থেকে ফিক্সড রেট নূ্যনতম ৮ শতাংশ কুপন/মুনাফাবাহী হতে হবে। ভালো কোম্পানির সাড়ে ৭ থেকে ৮ শতাংশে সম্পদভিত্তিক বন্ড ইসু্য করতে পারবে।