বিদেশে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন

প্রকাশ | ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
কীভাবে বাংলাদেশি পণ্য বিশ্ববাজারে আরও গ্রহণযোগ্যতা পেতে পারে, 'মেইড ইন বাংলাদেশ'খ্যাত পণ্যের রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের বিষয়ে বাস্তব জ্ঞান নিতে ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন করেছেন নবনিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরা। তারা প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বিশ্বের সম্ভাবনাময় দেশগুলোতে বাংলাদেশি পণ্যের প্রমোশনাল ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে নতুন রপ্তানি বাজার সৃষ্টি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের চেষ্টা চালাবেন। গতকাল গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন শেষে এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাসে নবনিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাহিদ আফরোজের নেতৃত্বে নবনিযুক্ত কমার্সিয়াল কাউন্সিলরদের প্রতিনিধিদলে ছিল তেহরানে নিয়োগপ্রাপ্ত ড. জুলিয়া মঈন, ইয়াংগুণে নিযুক্ত শাহেদুল আকবর খান, সিউলে ড. মিজানুর রহমান, লসএঞ্জেলসে বাংলাদেশ কনসু্যলেট জেনারেলের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর এস এম খুরশিদ-উল-আলম, ব্রাসেলসে নিয়োগপ্রাপ্ত সফিউল আজম এবং কুনমিংয়ে বাংলাদেশ কনসু্যলেট জেনারেল দপ্তরের প্রথম সচিব বজলুর রশীদ। ওই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মিরাজুল ইসলাম উকিল ও সৈয়দা নাহিদা হাবিবাসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহকারী প্রধান শামীমা আক্তার। কারখানা পরিদর্শন শেষে ড. জুলিয়া মঈন বলেন, বাংলাদেশ যে এগিয়ে গেছে ওয়ালটন কারখানা দেখে সেটা ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছেন। ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের সক্ষমতা তৈরি হয়েছে দেখে তারা গর্বিত এবং বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করবে ওয়ালটন। মিরাজুল ইসলাম উকিল বলেন, ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ওয়ালটন। আগে বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশে কাজের সুযোগ ছিলোনা। এস এম খুরশিদ-উল-আলম বলেন, ওয়ালটন কারখানায় এসে আমরা দেখলাম একটা পণ্যের এ টু জেড আমাদের দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়। আমরা যারা কমার্শিয়াল কাউন্সিলর হিসেবে বিভিন্ন দেশে যাচ্ছি, বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব এবং বহির্বিশ্বে তুলে ধরার ক্ষেত্রে এ অভিজ্ঞতা আমাদের ব্যাপক কাজে লাগবে। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইউসুফ আলী, ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জাহিদুল ইসলাম, অ্যাকটিং হেড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ইয়াসির আল ইমরান, ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর আব্দুর রউফ, সিনিয়র অ্যাডিশনাল অপারেটিভ ডিরেক্টর মোহসিন আলী মোলস্না প্রমুখ। কারখানা প্রাঙ্গনে পৌঁছে অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিশাল কর্মযজ্ঞের উপর নির্মিত ভিডিও ডকু্যমেন্টারি উপভোগ করেন। পরে তারা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপেস্ন সেন্টার ঘুরে দেখেন।