বন্ধ কিংবা শ্রমিক ছাঁটাইয়েরও পরিকল্পনা নেই :শিল্পমন্ত্রী

প্রকাশ | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল বন্ধ কিংবা শ্রমিক ছাঁটাইয়ের কোনো পরিকল্পনা শিল্প মন্ত্রণালয়ের নেই। বরং চিনিকলগুলোর আধুনিকায়ন ও বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করে এগুলোকে লাভজনক করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। চিনিকলগুলো লাভজনক করতে ইক্ষু গবেষণা জোরদারের মাধ্যমে উন্নত জাতের আখ উৎপাদনের পাশাপাশি চিনিকলে পণ্য বৈচিত্র্যকরণের উদ্যোগ দ্রম্নত বাস্তবায়ন করা হবে। রোববার ২০২০-২১ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় তিনি একথা জানান। সভায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। শিল্প সচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও করপোরেশনের প্রধান উপস্থিত ছিলেন। বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালক ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন। শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার। এটি বাস্তবায়নে শিল্প মন্ত্রণালয় শুরু থেকেই কাজ করছে। রাষ্ট্রায়ত্ত কোনো কারখানা বন্ধ করে শ্রমিকদের কর্মহারা করার প্রশ্নই ওঠে না। এসব কারখানায় নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে মান্ধাতা আমলের মেশিনারি পরিবর্তন করে আধুনিক যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন এবং প্রশিক্ষিত জনবল তৈরির উদ্যোগ জোরদার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চিনিকলসহ রাষ্ট্রায়ত্ত করপোরেশনগুলোকে লাভজনক করার প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, করোনাকালীন দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রকল্প বাস্তবায়নে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাভুক্ত দপ্তর/সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ফলে মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে গতিশীলতা এসেছে। তিনি এ ধারা অব্যাহত রাখতে প্রকল্প পরিচালকদের নিজ কর্ম এলাকায় অবস্থান এবং সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন। সভায় জানানো হয়, পঞ্চগড় ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বাফার গোডাউনের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় ১ অক্টোবর পঞ্চগড়ের বাফার গোডাউন উদ্বোধন করা হবে। ইতোমধ্যে 'সার সংরক্ষণ ও বিতরণ সুবিধার জন্য দেশের বিভিন্ন জেলায় ১৩টি বাফার গোডাউন নির্মাণ' প্রকল্পের আওতায় পঞ্চগড় ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাফার গোডাউন নির্মাণ করা হয়। অবশিষ্ট ১১টি বাফার গোডাউনের নির্মাণকাজ জুন ২০২১ সালে শেষ হবে বলে সভায় জানানো হয়। সভায় ঢাকার চামড়াশিল্প নগরী ও ভৈরব বিসিক শিল্প নগরী প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিদর্শন রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়। চামড়া শিল্প নগরীর সিইটিপির ক্রোম সেপারেশন, ক্রোম রিকভারি, অটোমেশন ও অনলাইন মনিটরিং স্থাপনে অবশিষ্ট কার্যক্রম দ্রম্নত শেষ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়া সিটিপি পরিচালনার দক্ষতা ও সক্ষমতা অর্জনের জন্য চামড়া শিল্প নগরী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।