প্রবাসী আয় বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগ

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আরও বেশি রেমিটেন্স আনতে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের আগ্রহী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ওই দুই দেশের অথর্ প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অথর্ স্থানান্তররের চুক্তি করার সহজ অনুমোদন দিচ্ছে। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডসহ আরও কিছু ব্যাংক ইতোমধ্যে ওই দুই দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে অথর্ স্থানান্তর চুক্তির মাধ্যমে বাড়তি রেমিটেন্স দেশে নিয়ে আসার আগ্রহ দেখিয়েছে। বতর্মানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে রেমিট্যান্স নিয়ে আসতে ২৯ টি মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কাজ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অথর্বছরে জাপান থেকে ৩ কোটি ১৪ লাখ মাকির্ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা আগের বছরের চেয়ে ৩৭ শতাংশ বেশি। এক বছর আগে দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ কোটি ২৮ লাখ মাকির্ন ডলার। ২০১৫-১৬ অথর্বছরে এর পরিমাণ ছিল ২ কোটি ২৬ লাখ মাকির্ন ডলার। অন্যদিকে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশে দ. কোরিয়া থেকে রেমিটেন্স এনেছে ৯ কোটি ৬২ লাখ মাকির্ন ডলার। যার পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ১৫.৬১ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশের রেমিটেন্সের সবচেয়ে বড় উৎস সৌদি আরব। গত ২০১৭-১৮ অথর্বছরে দেশটি থেকে ২৫৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। সংযুক্ত আরব আমীরাত ও মাকির্ন যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বড় উৎস। গত ২০১৭-১৮ অথর্বছরে দেশ দুটি থেকে যথাক্রমে ২৪৩ কোটি ও ২০০ কোটি মাকির্ন ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয়ের অন্য গুরুত্বপূণর্ উৎসগুলোর মধ্যে রয়েছে কাতার, ওমান, বাহরাইন, যুক্তরাজ্য, হংকং, জামাির্ন, জাপান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়া। এদিকে চলতি ২০১৮-১৯ অথর্বছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে ১৪১ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। জুলাইয়ের তুলনায় যা ৭.২২ শতাংশ বেশি। তবে আগের বছরের আগস্টেও একই পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল। গত জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। আর গত বছরের আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৪১ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে। অথর্বছরের প্রথম দুই মাসে অথার্ৎ জুলাই-আগস্ট সময়ে ২৭২ কোটি ৭৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। জানা যায়, আগস্ট মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি ব্যাংগুলোর মাধ্যমে। বেসরকারি এসব ব্যাংগুলোর মাধ্যমে ১০২ কোটি ৮ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এছাড়া সরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩৫ কোটি ৭ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১ কোটি ৫ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ডলার। টানা দুই অথর্বছর কমার পর বিদায়ী ২০১৭-১৮ অথর্বছর রেমিট্যান্সে ১৭.৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়। এর আগে ২০১৫-১৬ ও ১৬-১৭ অথর্বছরে রেমিট্যান্স কমার পাশাপাশি আমদানি ব্যাপক বাড়ার ফলে চাপে পড়ে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার। গত অথর্বছর আমদানিতে ২৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়। অথচ রপ্তানি বেড়েছে মাত্র ৫.৮১ শতাংশ। ডলারের বাড়তি চাহিদা মেটাতে গত অথর্বছর বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ২৩১ কোটি ডলার বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পরও আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দর বেড়ে ৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৮৩ টাকা ৭৫ পয়সা হয়। বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ৯৭৮ কোটি ডলারের ঘাটতি নিয়ে ২০১৭-১৮ অথর্বছর শেষ করেছে বাংলাদেশ। আগের অথর্বছরের তুলনায় ঘাটতি বেড়েছে সাত গুণেরও বেশি। নগদ লভ্যাংশ পাঠিয়েছে এনসিসি ব্যাংক যাযাদি রিপোটর্ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এনসিসি ব্যাংক সমাপ্ত হিসাব বছরের লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, এনসিসি ব্যাংক বিইএফটিএনের মাধ্যমে নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়েছে। উল্লেখ্য, সমাপ্ত হিসাব বছরে এনসিসি ব্যাংক ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আজ থেকে ড্রাগন সোয়েটারের লেনদেন মূল মাকেের্ট যাযাদি রিপোটর্ আজ রোববার ৯ সেপ্টেম্বর থেকে মূল মাকেের্ট লেনদেন হবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্রখাতের ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেডের শেয়ার। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত ১৬ আগস্ট ড্রাগন সোয়েটারসহ ৫ কোম্পানি শেয়ার লেনদেনের জন্য স্পট মাকেের্ট পাঠায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। জানা গেছে, ড্রাগন সোয়েটারের কপোের্রট ডিসক্লোজার ও অন্যান্য বিষয় পযের্বক্ষণে সন্তোষজনক পরিবতর্ন দেখা গেছে। আর এ কারণে বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজারের স্বাথের্ কোম্পানিটিকে স্পট মাকের্ট থেকে মূল মাকেের্ট ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। তাই গত ১৬ আগস্ট স্পট মাকেের্ট পাঠানো ড্রাগন সোয়েটারকে মূল মাকেের্ট ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। আজ রোববার থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মূল মাকেের্ট কোম্পানির লেনদেন শুরু হবে। তাছাড়া কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বতর্মান নিয়মানুযায়ী চলবে বলে জানিয়েছে কমিশন। সাপ্তাহিক গেইনারের শীষের্ খুলনা পাওয়ার যাযাদি রিপোটর্ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গেইনারের শীষের্ উঠে এসেছে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। এ সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২৯ দশমিক ৯১ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ৬৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে এই কোম্পানির ২৫৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড। এ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ২১ দশমিক ১৬ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৪৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার। তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা কনফিডেন্স সিমেন্ট লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে ১৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ২২ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে ৮৯ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ইনটেক লিমিটেড, নাহি অ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল, ওয়াইম্যাক্স ইলেক্ট্রোড, ন্যাশনাল হাউজিং ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট, মেঘনা সিমেন্ট মিলস, ইস্টানর্ হাউজিং ও সামিট পাওয়ার লিমিটেড। টপটেন লুজারের শীষের্ সাভার রিফ্যাক্ট্ররিজ যাযাদি রিপোটর্ বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টপটেন লুজার তালিকায় ওঠে এসেছে সাভার রিফ্যাক্ট্ররিজ লিমিটেড। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির দর কমেছে ২১ দশমিক ১ শতাংশ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, গড়ে প্রতিদিন কোম্পানিটির ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। পুরো সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ১৮ লাখ ৪২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লুজারের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস লিমিটেড। এ কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ১৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। গড়ে প্রতিদিন কোম্পানিটির প্রায় ৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। পুরো সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ২৭ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। এ কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দর কমেছে ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গড়ে প্রতিদিন কোম্পানিটির প্রায় এক কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। পুরো সপ্তাহে কোম্পানিটির মোট ৬ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া লুজারে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এইচ আর টেক্সটাইল, এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড, ইমাম বাটন, এসইএমএল লেকচার ইক্যুয়িটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড, গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড, প্রাইম টেক্সটাইল স্পিনিং মিলস ও তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।