মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
করোনায় এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল

মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত তৈরি পোশাক খাত

যাযাদি ডেস্ক
  ২৭ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নতুন গবেষণা অনুযায়ী, কোভিড-১৯ সংকট এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের তৈরি পোশাক খাতকে (আরএমজি) মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

কোভিড-১৯ এ অঞ্চলের পোশাক উৎপাদনকারী ১০ বড় দেশ বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা ও ভিয়েতনামের সাপস্নাই চেইন, কারখানা ও শ্রমিকদের ওপর প্রভাব ফেলছে।

২০২০ সালের মে মাসের নমুনা তথ্য থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশি সরবরাহকারীদের মধ্যে কেবল ৩.৯ শতাংশ তাদের পুরো কর্মক্ষমতা ধরে রেখেছে এবং দেশের আরএমজি কারখানার ৪৩ শতাংশ কম লোকবল দিয়ে অস্থায়ীভাবে বা অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিচালিত হচ্ছে।

শ্রমিক ছাঁটাই বৃদ্ধি যেমন পেয়েছে তেমনি পুনরায় চালু হওয়া কারখানাগুলোর বেশির ভাগই কম লোকবল দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।

আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পটিয়াইনেন বলেন, 'সৌভাগ্যজনকভাবে অনেক পোশাক রপ্তানিকারক গত কয়েক মাস ধরে আবারও তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। একই সাথে, বাংলাদেশি এ প্রতিষ্ঠানগুলো এবং এর শ্রমিকদের চলমান মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে এবং সবার জন্য নিরাপদ পরিস্থিতি নিশ্চিত করছে।'

আইএলও কর্মস্থলে সংক্রমণ কমাতে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত একটি জাতীয় পেশাগত সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য (ওএসএইচ) নীতিমালা তৈরির পক্ষে সমর্থন দিয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়া তৈরি পোশাক খাতের কর্মীদের আয়, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান রক্ষা এবং মহামারি চলাকালীন নিয়োগকর্তাদের সহায়তার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর। বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতিসংঘ সম্মেলন (ইউএনসিটিএডি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির মোট মূল্য ছিল ৩৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৯০ শতাংশই আসে পোশাক খাত থেকে এবং দেশে কর্মজীবী প্রতি ৯ জন নারীর মধ্যে একজন পোশাক খাতে কর্মরত। বাংলাদেশের সরবরাহকারীদের প্রায় ৪৩ শতাংশ তাদের করোনার আগের কর্মী বাহিনীর ৫০ শতাংশেরও কম দিয়ে কাজ পরিচালনা করছে।

আইএলওর বেটার ওয়ার্ক বাংলাদেশের (বিডবিস্নউবি) সদস্য কারখানাগুলোর ২ লাখ ৩০ হাজার ৭৪৯ শ্রমিক কারখানা পুনরায় খোলার পরও সেখানে কাজ করতে পারছেন না, যা বিডব্লিউবি কর্মসূচির আওতায় থাকা মোট শ্রমিকের ৪১ শতাংশ।

২০২০ সালের মে মাসে বিডবিস্নউবির ২৫০টি কারখানার মধ্যে করা এক সমীক্ষা অনুযায়ী, ৩৮ শতাংশ কারখানার রপ্তানি কমেছে বা তাদের চালান স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। ৩৪ শতাংশ কারখানার রপ্তানি আদেশ পুরোপুরি বাতিল হয়েছে এবং ৪ শতাংশ কারখানা কাঁচামালের অভাবে পোশাক তৈরি করতে পারেনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<116651 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1