কাস্টমসের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে রেসপন্স টিম গঠনের সুপারিশ

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
দেশের কাস্টম স্টেশনগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। মোট আমদানির প্রায় ৫০ শতাংশ এবং রপ্তানির প্রায় ৮০ শতাংশ নিয়ন্ত্রিত হয় এ কাস্টম হাউসের মাধ্যমে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংগৃহীত মোট রাজস্বের ৩০ শতাংশ এবং মোট পরোক্ষ করের ৪০ শতাংশ সংগৃহীত হয় এ কাস্টম হাউসের মাধ্যমে। প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার মানুষ এখানে ভিড় করে। ফলে কভিড-১৯ পরিস্থিতিতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন কাস্টমস-সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা। এ অবস্থায় কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে একটি কোভিড-১৯ রেসপন্স টিম গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। রোববার বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) ও বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট ফান্ড-২ (বিআইসিএফ-২)-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল কর্মশালা থেকে এ সুপারিশ করা হয়। 'ওয়ার্ক হেলথ সেফটি অব কাস্টম হাউস চট্টগ্রাম ডিউরিং কভিড-১৯' শীর্ষক ভার্চুয়াল এ কর্মশালায় বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ আনা হয়েছে। যার মধ্যে প্রথমেই কোভিড-১৯ রেসপন্স টিম গঠনের কথা বলা হয়েছে। এ টিমের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সুপারিশে বলা হয়েছে, স্টেকহোল্ডারদের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির রেকর্ড রাখা, পিপিই প্রদান, আইসোলেশনের জন্য নিরাপদ জায়গা ও পরিকল্পনা তৈরি, সিভিল সার্জন অফিসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা, অসুস্থ কর্মীদের কভিড পরীক্ষায় সহায়তা প্রদান ইত্যাদি হবে এ টিমের অন্যতম কাজ। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিল্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফেরদৌস আরা বেগম। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএফসির প্রাইভেট সেক্টর স্পেশালিস্ট নুসরাত নাহিদ ও প্রখ্যাত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ আবুল হাসনাত। কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কমিশনার এম ফখরুল আলম, চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম, চিটাগং পোর্ট অথরিটির সদস্য (যুগ্ম সচিব) মো. জাফর আলম, চিটাগং কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের থার্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট বাবু মিচ্ছু সাহা, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইসিডিএ) সেক্রেটারি রুহুল শিকদার প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের প্রবেশ পথে বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া দর্শনার্থীর অবাধ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ, কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের জন্য আইডি কার্ডভিত্তিক একটি বার-কোড/কিউআর-কোড প্রদানসহ বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে।