চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করবে ভারত

প্রকাশ | ২৮ অক্টোবর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আগামী মাসে চারটি প্রধান রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি (পিএসইউ) বিক্রির পরিকল্পনা করছে ভারত। নভেম্বরের শেষের দিকে ভারত পেট্রোলিয়াম (বিপিসিএল), শিপিং করপোরেশন (এসসিআই), কনটেইনার করপোরেশন (কনকর) ও বিইএমএল নিলামে তুলবে কেন্দ্রীয় সরকার। এ চার রাষ্ট্রায়ত্ত লাভজনক সংস্থা বিক্রির মাধ্যমে মোট ৪৯ হাজার কোটি রুপি সরকারি কোষাগারে জমা হবে বলে প্রত্যাশা সরকারের। খবর বিজনেস টুডে ও পিটিআই। ২০২০-২১ অর্থবছরে বিলগ্নীকরণের মাধ্যমে মোট ২ লাখ ১০ হাজার কোটি রুপি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে বিজেপি সরকার। বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কৌশলগত বিলগ্নীকরণে এবার মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। কিন্তু নভেল করোনাভাইরাস মহামারি ও লকডাউন সরকারের সব ভাবনা ওলটপালট করে দিয়েছে। তার মধ্যে কর থেকে প্রাপ্ত আয়ে প্রভাব পড়ায় রাজকোষে টানাটানি পড়েছে। সরকারের রাজস্ব ঘাটতি আকাশছোঁয়া। এ পরিস্থিতিতে আর কালবিলম্বে রাজি নন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরা। সূত্রের খবর, পূজার উৎসব পর্ব মিটলেই মোট চারটি লাভজনক প্রক্রিয়ার বিলগ্নীকরণের কাজ শুরু হয়ে যাবে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, আগামী মাসে ভারত পেট্রোলিয়াম করপোরেশন লিমিটেড (বিপিসিএল), শিপিং করপোরেশন (এসসিআই), কনটেইনার করপোরেশন (কনকর) এবং বিইএমএলের নিলাম ও আগ্রহপত্র আহ্বানের মাধ্যমে বিলগ্নীকরণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক খসড়া তৈরি করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের ডিপার্টমেন্ট অব ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট (ডিপাম)। এ চার সংস্থার বর্তমানে যা শেয়ারমূল্য, তাতে বিলগ্নীকরণের মাধ্যমে অন্তত ৪৯ হাজার কোটি রুপি সরকারের ঘরে ঢুকবে বলে আশা গোটা প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কর্তাব্যক্তিদের। এছাড়া বহু আলোচিত এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নীকরণের দিকেও তাকিয়ে আছে গোটা দেশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন একটি কমিটি চলতি মাসেই এ বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়ে দিতে পারে। তেমন হলে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি 'মহারাজা' হিসেবে খ্যাত উড়োজাহাজ সংস্থাটির আগ্রহী ক্রেতাদের থেকে আগ্রহপত্র আহ্বান করতে পারে সরকার। তবে আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকের আগে এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রির সম্ভাবনা খুবই কম বলে মনে করছেন তারা। বর্তমান অর্থবছরের বাজেট পেশের সময় আর্থিক ঘাটতি জিডিপির ৩ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে বেঁধে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।