করোনায় অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দুই দেশের একটি ব্রিটেন

প্রকাশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
শীর্ষস্থানীয় একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার মতে, চলমান মহামারিতে অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অন্যতম ব্রিটেন। দি অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) পূর্বাভাস মতে, ২০২১ সালের শেষ দিকে কোভিডজনিত সংকটের আগের তুলনায় অর্থনীতি আরও ৬ শতাংশ ছোট হয়ে আসবে। খবর বিবিসি। বিশ্বে প্রধান অর্থনীতিগুলোর মাঝে কেবল আর্জেন্টিনার অবস্থা এর চেয়ে খারাপ হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বিপরীত দিকে ওইসিডি বলছে, সব মিলিয়ে বৈশ্বিক অর্থনীতি ততদিনের মধ্যে প্রাক-মহামারি অবস্থায় ফিরে যাবে। তবে এই রিপোর্টের বাইরে আগামী বছরের জন্য সতকর্তাসহ কিছু ইতিবাচক সংবাদ থাকতে পারে। এদিকে কিছু দেশেও স্বল্পমেয়াদে এই অর্থনৈতিক হ্রাস চালিত হতে পারে, বিশেষত ইউরোপের কয়েকটি দেশে। পাশাপাশি রিপোর্টটি বলছে, মহামারি শুরুর পর এই প্রথমবারের মতো উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নতুন আশা দেখা যাচ্ছে, যার প্রধান কারণ হিসেবে ভ্যাকসিনের বিকাশ নিয়ে সুসংবাদকে দায়ী করা হচ্ছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ভ্যাকসিন ও চিকিৎসার উন্নতি আশাবাদের সঞ্চার করেছে এবং অনিশ্চয়তাকে হ্রাস করেছে। যদিও রিপোর্টে বলা হয়েছে, অনিশ্চয়তা পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি। ভ্যাকসিন নিয়ে আশা পুরোপুরিভাবে পূর্ণ হলেও ভবিষ্যতের অর্থনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকছেই। বিশেষ করে ভ্যাকসিনের বিস্তৃত বিতরণ ও এজন্য অপেক্ষায় থাকাকে এখানে কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। ব্রিটেনের জন্য ওইসিডির অনুমান অনুসারে, ২০২০ সালে অর্থনীতি সংকুচিত হবে ১১ দশমিক ২ শতাংশ; যা পরের দুই বছরে ৪ দশমিক ২ শতাংশ এবং ৪ দশমিক ১ শতাংশ করে বৃদ্ধি পাবে। ২০২১ সালের মধ্যে বেকারত্ব বৃদ্ধি পাবে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যদিও গড় হিসাবে চূড়ান্তটি সম্ভবত বেশি হবে। সংকটের আগে এই পরিসংখ্যানটি ৪ শতাংশের নিচে ছিল, ফলে এই বৃদ্ধিটা বেশ বড়। তবে আরও অনেক দেশের এর চেয়েও উচ্চস্তরের বৃদ্ধি দেখার সম্ভাবনা রয়েছে। রিপোর্টটি বলছে, যুক্তরাজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে বছর শেষ হওয়ার আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করা। যদি তারা সেটি করতে ব্যর্থ হয়, তবে স্বল্পমেয়াদে গুরুতর অর্থনৈতিক ঝামেলায় পড়তে হবে। পাশাপাশি বাণিজ্য, উৎপাদনশীলতা ও চাকরির ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদে বেশ নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ওইসিডি বলছে, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরকার ও ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের উচিত সহায়তা করার নীতি বজায় রাখা। বিশ্ব অর্থনীতির জন্য আগামী বছর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার হবে অসম। বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির এক-তৃতীয়াংশ গেছে চীন অভিমুখে। যেখানে আগামী বছরের শেষের দিকে ২০১৯ সালের শেষের দিকের চেয়ে ১০ শতাংশ এগিয়ে থাকার পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে।