জুলাইতে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে বাণিজ্য ঘাটতি। গত বছরের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে এ বছরও। চলতি (২০১৮-১৯) অথর্বছরের প্রথম মাসে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে ১২ দশমিক ১৪ শতাংশ। ১২ কোটি ৭০ লাখ ডলার বেড়ে বাণিজ্য ঘাটতি দঁাড়িয়েছে ১১৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারে। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের কমর্কতার্রা বলছেন, গত দুই বছর ধারাবাহিকভাবে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে। একই সঙ্গে কাক্সিক্ষত মাত্রায় দেশে শিল্পের প্রবৃদ্ধি না হওয়ায় আশানুরূপ রপ্তানি আয় আসছে না। যার ফলে ঘাটতি বাড়ছে। এদিকে, অথৈর্নতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যে হারে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি হচ্ছে সেই হারে নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠা হচ্ছে না। ফলে আমদানির আড়ালে অথর্পাচারের ঘটনা ঘটছে কিনা সে বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের সক্রিয় বিবেচনায় নিতে হবে। তাছাড়া এ বছরের শেষ নাগাদ জাতীয় নিবার্চন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে অথর্পাচারের ঘটনা ঘটতে পারে। সে বিষয়টিও কঠিন নজরদারির আওতায় রাখতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কমর্কতার্রা বলছেন, ব্যাংকের একাধিক তদন্তে দেখা গেছে অনেক আমদানিকারক আমদানির বিপরীতে প্রয়োজনীয় কাগজ জমা দিতে পারেন না। যার কারণে আমদানির আড়ালে অথর্পাচারের সন্দেহ আরও জোরালো হচ্ছে। অথর্নীতিবিদরা বলছেন, ধারাবাহিকভাবে বাণিজ্য ঘাটতি বাড়তে থাকলে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে গোটা অথর্নীতির ওপর। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত বছর এর আগের বছরের তুলনায় দ্বীগুণ বৃদ্ধি পেয়ে বাণিজ্য ঘাটতি হয়েছিল ১ হাজার ৮২৫ কোটি ডলার। যা ছিল এ যাবৎকালের মধ্যে সবোর্চ্চ। ২০১৫-১৬ অথর্বছরে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৬৪৬ কোটি ডলার, ২০১৬-১৭ অথর্বছরে ছিল ৯৪৭ কোটি ডলার। এদিকে, চলতি অথর্বছরের জুলাই রপ্তানি বেড়েছে ৩৫৩ কোটি ডলার বা ১৯.৩২ শতাংশ। এর আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ২৯৬ কোটি ডলার। জুলাইয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি ২১.৭৪ শতাংশ বেড়ে ৩০২ কোটি ডলারে দঁাড়িয়েছে। যা গত বছর একই সময়ে ছিল ২৪৮ কোটি ডলার। অন্যদিকে জুলাই মাসে আমদানি ব্যয় ৪৭০ কোটি ডলারে দঁাড়িয়েছে। যা গত বছর একই সময়ে ছিল ৪০০ কোটি ডলার। তবে সরকারের চলতি হিসাবের কিছুটা উন্নতি ঘটেছে। এ বছরের জুলাই শেষে চলতি হিসাবে ঘাটতি দঁাড়িয়েছে ২৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। গত বছর একই সময়ে যা ছিল ৪৭ কোটি ৮০ ডলার। ২০১৭ সালে ছিল ১৩৩ কোটি এবং ২০১৮ সালে ছিল ৯৭৮ কোটি ডলার।