প্রকৌশল খাতে বিনিয়োগকারীদের প্রকৃত প্রাপ্তি সামান্য

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি রিপোটর্
পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতের কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশের মৌসুম চলছে। ফলে এসব খাতের শেয়ারের কদর বাড়ছে। তবে সবের্শষ দেয়া লভ্যাংশে প্রকৌশল খাতের কোম্পানিগুলোর প্রকৃত প্রাপ্তি (ডিভিডেন্ড ইল্ড) খুবই সামান্য। যা আমানতের সুদের হারের চেয়ে অনেক নিচে। একটি কোম্পানির যে পরিমাণ লভ্যাংশ দেয় তা থেকে বিনিয়োগকারীর প্রকৃত প্রাপ্তি নিভর্র করে তার ইল্ডের ওপর। কারণ বাজারে শেয়ারের দাম বেশি হলে এবং লভ্যাংশ বেশি দিলেও প্রকৃত প্রাপ্তি কম হয়। অন্যদিকে তুলনামূলক কম লভ্যাংশ দিলেও ট্রাপ্তি ভালো হতে পারে যদি শেয়ারের দাম কম হয়। তাই ঘোষিত লভ্যাংশের হার প্রকৃত বিবেচ্য নয়, বিবেচ্য হয় শেয়ারের বাজারমূল্যের নিরিখে শতকরা কত লভ্যাংশ পাওয়া যাচ্ছে তা। প্রকৃত প্রাপ্তি বুঝা যায়, ডিভিডেন্ড ইল্ডের মাধ্যমে। কোনো কোম্পানির লভ্যাংশকে শেয়ারের সবের্শষ বাজার দর দিয়ে ভাগ করে ১০০ দিয়ে গুন করলে ডিভিডেন্ড ইল্ড পাওয়া যায়। তথ্যমতে, ডিএসইতে প্রকৌশল খাতের ৩৬টি প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত। এর মধ্যে অধিকাংশ কোম্পানি সবের্শষ হিসাব বছরে বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। যেসব কোম্পানি নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে সেগুলোর মধ্যেও প্রকৃত প্রাপ্তি ছিল অনেক কম। কোম্পানিগুলোর মধ্যে নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ১৭টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে সবোর্চ্চ প্রাপ্তি ছিল (ডিভিডেন্ড ইল্ড) সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের লভ্যাংশে। কোম্পানিটি গেলো হিসাব বছর শেষে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর প্রকৃত মুনাফা হয়েছে ৫ দশমিক ১২ শতাংশ। প্রকৃত মুনাফার দিক দিয়ে প্রকৌশল খাতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বিএসআরএম স্টিল। কোম্পানিটি ২০১৭ সালের সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর প্রকৃত মুনাফা হয়েছে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ। প্রকৃত মুনাফার দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড। কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর প্রকৃত মুনাফা হয়েছে ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। চতুথর্ অবস্থানে রয়েছে আফতাব অটোমোবাইলস। এর প্রকৃত মুনাফা ২ দশমিক ৪১ শতাংশ। নগদ লভ্যাংশ দেয়া অন্যান্য কোম্পানির মধ্যে নাভানা সিএনজির প্রকৃত মুনাফা ছিল ২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, রংপুর ফাউন্ড্রির প্রত্যেকের ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ করে, বিডি ল্যাম্পসের ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ, ইফাদ অটোসের ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ, কেডিএস অ্যাক্সেসরিজের ১ দশমিক ৩১ শতাংশ, জিপিএইচ ইস্পাতের ১ দশমিক ১৩ শতাংশ, ওয়েস্টানর্ মেরিন শিপইয়াডের্র দশমিক ৭৭ শতাংশ।