বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

যেসব অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সামনে বাইডেন

যাযাদি ডেস্ক
  ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ০০:০০

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হয়তো বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনেক নীতিকেই বদলে দেবেন। কিন্তু চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সম্ভবত ট্রাম্প-পূর্ব অবস্থায় ফিরে যাবেন না বাইডেন। পাশাপাশি বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর শক্তি হ্রাস করার ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকেও হয়তো অব্যাহত রাখতে পারেন বাইডেন। এখানে নিচে এমন কিছু খাতের কথা তুলে ধরা হলো, যেখানে মনোযোগ দেওয়ার মাধ্যমে সফল হতে পারেন বাইডেন। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস

অর্থনীতিকে সঠিক পথে আনা : শুরুতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ভাগ্য কিছুটা সুপ্রসন্ন থাকছে। গত বসন্তে ধসে পড়ার পর অর্থনীতি এখন কিছুটা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। মূলত ট্রিলিয়ন ডলারের ফেডারেল সহায়তার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোয় অগ্রগতি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। বিশেষত মহামারির দ্বিতীয় আঘাতের পর কর্মজীবীরা চাকরি হারাতে শুরু করলে এটি উল্টোদিকে মোড় নেয়। এ অবস্থায় বাইডেনের প্রথম কাজ হবে অর্থনীতিকে সঠিক পথে নিয়ে আসা।

চীনকে মোকাবিলা : চীন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক ভালোভাবে মহামারি কাটিয়ে উঠেছে। পাশাপাশি এশিয়ান দেশটি এখন মার্কিন অর্থনীতির জন্য আরও বড় হুমকি হয়ে সামনে এসেছে। ট্রাম্পের আরোপ করা শুল্ক বোঝার পরও যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বেড়েছে। দীর্ঘসময় ধরে শ্রমিক প্রশিক্ষণ এবং অটোমেশনে বিনিয়োগ করার পর চীনের নির্মাণ খাত এখন দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি চীন এখন সামরিক শক্তিও বৃদ্ধি করছে এবং বাইডেন প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এখন চীনকে আরও প্রযুক্তি বিক্রয়ের অনুমতি দেবে কিনা এবং কোন কৌশলে দেশটিকে মোকাবিলা করবে সেই কঠিন সিদ্ধান্তও বাইডেনকে নিতে হবে।

ক্ষুদ্র ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে সাহায্য করা : ছোট কোম্পানিগুলো আমেরিকার প্রায় অর্ধেক বেসরকারি কর্মীকে নিয়োগ দেয়। সাম্প্রতিক হিসাব বলছে, মহামারি শুরুর পর অন্তত চার লাখ প্রতিষ্ঠান স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। বাইডেন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলোতে কমপক্ষে ১৫ বিলিয়ন ডলার সরকারি অনুমোদনের কথা বলেছেন, যা কিনা প্রতিজন অংশীদারকে ১৫ হাজার ডলার করে প্রদান করবে এবং রাজ্য ও স্থানীয় অর্থনৈতিক প্রোগ্রামে ৩৫ বিলিয়ন ডলার ফেডারেল বিনিয়োগ করবে।

পরিবহন খাতে সংস্কার : পরিবহণ খাত বিলিয়ন ডলার ফেডারেল সহায়তা পেয়েছে কিন্তু তারপরও মহামারির সঙ্গে লড়াই করছে। এখন বাইডেন প্রশাসনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, এ খাতে সাহায্য করার জন্য আরও কী করতে হবে। যেখানে অর্থনৈতিক সহায়তার পাশাপাশি ভ্রমণকারীদের মাস্ক পরার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।

কর ব্যবস্থা নিয়ে আবার চিন্তা করা : বাইডেন বারবার বলে আসছেন, ফেডারেল কর ধনী এবং বড় করপোরেশনগুলোর জন্য সহায়ক। পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে আরও অর্থ আদায়ের জন্য নানা ধরনের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি, বলা হচ্ছে অবকাঠামো, শিক্ষা এবং অন্যান্য ঘরোয়া এজেন্ডা বাস্তবায়নে অর্থায়ন করার কথাও। সব মিলিয়ে কর ব্যবস্থা নিয়েও এখন নতুন করে ভাবতে হবে বাইডেন প্রশাসনকে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে