বিনিয়োগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি পযের্বক্ষণ করছে চীন

প্রকাশ | ০১ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বিনিয়োগপ্রবাহ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি খুব সতকর্ভাবে পযের্বক্ষণ করছে চীন। বৃহস্পতিবার দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে দেশটিতে চীনা বিনিয়োগে সীমাবদ্ধতা আরোপের পুরোপুরি বিপক্ষে তারা। খবর রয়টাসর্। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বুধবার জানিয়েছেন, সংবেদনশীল মাকির্ন প্রযুক্তি খাতে চীনের অধিগ্রহণ কাযর্ক্রম প্রতিহত করতে তিনি জাতীয় নিরাপত্তা পযাের্লাচনা প্রক্রিয়া ব্যবহার করবেন। তবে এর আগে চীনের বিনিয়োগে সুনিদির্ষ্ট বিধিনিষেধ আরোপের কঠোর মনোভাব থেকে সরে এসেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের অথর্ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কমিটি অন ফরেন ইনভেস্টমেন্ট ইন দ্য ইউনাইটেড স্টেটসকে (সিএফআইইউএস) ব্যবহার করে বিনিয়োগসংক্রান্ত যাবতীয় চুক্তি নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। কংগ্রেসে একটি নতুন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সংস্থাটির ক্ষমতা আরও বাড়ানো হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, এ আইনের ফলে জাতীয় নিরাপত্তার ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করতে আন্তঃসংস্থাবিষয়ক প্যানেলের সুযোগ আরও বাড়বে। বেইজিংয়ে এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গাও ফেং এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এ আইনি প্রক্রিয়া খুব নিবিড়ভাবে পযের্বক্ষণ করা হচ্ছে এবং চীনের কোম্পানির ওপর এর সম্ভাব্য প্রভাবও মূল্যায়ন করে দেখা হচ্ছে। জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে বিদেশি বিনিয়োগ শতার্বলি কঠোরের বিষয়ে একমত নয় চীন।’ যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো বহুদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে, চীনে যৌথ উদ্যোগের ব্যবসায় আরোপিত নানা শতর্সহ কৌশলে মাকির্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অধিগ্রহণের সুযোগে দেশটি নিয়মবহিভূর্তভাবে মাকির্ন মেধা সম্পদ চুরি করছে। এসব অভিযোগের পর বাণিজ্য, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং শিল্প ভতুির্ক নীতিমালায় বড় ধরনের পরিবতর্ন আনতে চীনকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন; বাণিজ্যে বিধিনিষেধ আরোপের প্রস্তাব এরই একটি অংশ। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গাও জানিয়েছেন, চীন ও ইউরোপ উভয়ই একতরফাবাদ ও রক্ষণশীলতার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাদের মধ্যে এ সহযোগিতামূলক সম্পকর্ আন্তজাির্তক অথর্নীতিতে ‘বতর্মানে স্বস্তিজনক’ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। গত সোমবার চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং ফরাসি প্রধানমন্ত্রী এডওয়াডর্ ফিলিপের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান দ্ব›দ্ব আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব। তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য যুদ্ধে কেউই বিজয়ী হয় না।’