মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে অনলাইনের ছোঁয়া শতভাগ ব্যাংক শাখায়

যাযাদি রিপোর্ট
  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

অনলাইনের ছোঁয়ায় পুরো বিশ্বই এখন হাতের মুঠোয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা, সভা-সেমিনার সবই হচ্ছে প্রযুক্তির মাধ্যমে। প্রযুক্তির এই বিপস্নবের সঙ্গে পিছিয়ে নেই ব্যাংক খাতও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, দেশের শতভাগ ব্যাংক শাখাই এখন অনলাইনের আওতায় চলে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদন বলছে, সদ্যসমাপ্ত ২০২০ সালে ব্যাংকের শতভাগ শাখাতেই পৌঁছে গেছে অনলাইন সেবা। তবে পুরোপুরি কার্যক্রম শুরু করতে না পারলেও আংশিক সেবার আওতায় এসেছে ব্যাংকের সকল শাখা। তথ্যমতে, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের মোট শাখার সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৭৩৪টি। এর মধ্যে ১০ হাজার ৪১৯টি শাখা শতভাগ অনলাইনের আওতায় এবং আংশিক অনলাইনে এসেছে ৬১৭টি শাখা।

ব্যাংকের এসব শাখার মধ্যে শহরের ৫ হাজার ৫৭৪টির মধ্যে ৫ হাজার ৫৬১টি শাখা শতভাগ অনলাইনের আওতায় এবং ৩০২টি শাখা আংশিক অনলাইনের মধ্যে রয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় রয়েছে ৫ হাজার ১৬০টি শাখা। মধ্যে ৪ হাজার ৮৫৮টি শাখা শতভাগ অনলাইনের আওতায় থাকলেও ৩১৫টি শাখা আংশিক অনলাইনের মধ্যে রয়েছে। অনলাইনের ছোঁয়া লাগেনি এমন ব্যাংকের কোনো শাখা নগর বা গ্রামীণ এলাকায় পাওয়া যায়নি।

এর আগে ২০২০ সালের অক্টোবর শেষে বিভিন্ন ব্যাংকের ৮১টি শাখা অনলাইনের আওতার বাইরে ছিল। তার আগের বছরের (অক্টোবর, ২০১৯) একই সময়ে অনলাইনের বাইরে ছিল মোট ৪৮২টি শাখা। সুতরাং বছরের ব্যবধানে বেড়েই চলেছে অনলাইনভিত্তিক লেনদেন ও শাখার সংখ্যা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, নতুন শাখার সংখ্যাও বাড়ছে উলেস্নখযোগ্য হারে। ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের মোট ১০ হাজার ৬৪৩টি শাখা ছিল। ডিসেম্বরের হিসাব বলছে, এসব শাখা বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ১০ হাজার ৭৩৪টিতে। অর্থাৎ দুই মাসে শাখার সংখ্যা বেড়েছে ৯১টি।

ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, এখন সবকিছুই অনলাইন নির্ভর। অনলাইনে জগতে 'অনলাইনের বাইরে কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। এটা গ্রাম বা শহর যেখানেই হোক অনলাইন ছাড়া কোনো সেবা দেওয়া সম্ভব হবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে