পতন দিয়ে সপ্তাহ শুরু পুঁজিবাজারে

প্রকাশ | ০১ মার্চ ২০২১, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনের শুরুতে মূল্য সূচকের বড় উত্থান হলেও, শেষ পর্যন্ত দুই বাজারই পতনের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। দুই বাজারেই সবকটি মূল্য সূচকের পতনের সঙ্গে দাম কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এদিন লেনদেনের শুরুতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। ফলে প্রথম ১৫ মিনিটের লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৩০ পয়েন্টে বেড়ে যায়। লেনদেনের প্রথম এক ঘণ্টা দাম বাড়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে। কিন্তু ১১টা ১৫ মিনিটের পর লেনদেনে অংশ নেয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমতে থাকে। ফলে নিচের দিকে নামতে থাকে সূচক। শেষ আধা ঘণ্টার লেনদেনে পতনের মাত্রা আরও বাড়ে। ফলে বড় উত্থানে লেনদেন শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত সবকটি সূচকের পতন হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ১০২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে পতনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১২০টি। আর ১২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪০৪ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরীয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৬০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭৪৬ কোটি ২ লাখ টাকা। সেই হিসাবে লেনেদেন কমেছে ৮৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৩১ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবির ৫৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৫২ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সামিট পাওয়ার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, লাফার্জহোলসিম, বেক্সিমকো ফার্মা, ওয়ালটন, জিবিবি পাওয়ার ও ওরিয়ন ফার্মা। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২২৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮১টির এবং ৭৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচক বেড়ে যায়। এ সময় সূচক বাড়ার পাশাপাশি লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়ে যায়। তবে লেনদেনে গতি কিছুটা মন্থর ছিল। প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে দুইশ কোটি টাকার কিছু বেশি লেনদেন হয়। এদিন বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরু হলে ১৫ মিনিটের লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। সময়ের সঙ্গে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরও বাড়ে। বেলা ১১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৩ পয়েন্টে বাড়ে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্‌ ৬ পয়েন্ট আর ডিএসই-৩০ সূচক কমে ১৫ পয়েন্ট। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া মাত্র ১৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকার বিপরীতে দাম কমেছে ৪২টির। আর ৯৫টির দাম থাকে অপরিবর্তিত। তবে দিন শেষে সূচকের পাশাপাশি কমে লেনদেনের পরিমাণও।