শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী আছেন, যারা শুধু লাভের চিন্তা করে

ম যাযাদি রিপোর্ট
  ০৪ মার্চ ২০২১, ০০:০০

বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ওপর থেকে ১৫ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ)। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের যদি আয় থাকে তাহলে কেন কর দিতে হবে না, তা বুঝতে পারছেন না জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, "দেশে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী আছেন, যারা শুধু লাভের চিন্তা করেন। বিনা শুল্কে যন্ত্রপাতি আমদানির সুযোগ দিলে সুযোগ নেবেন এসব অসাধু ব্যবসায়ী।বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় বিভিন্ন কর মওকুফের প্রস্তাব করেন বিপিএমসিএ সভাপতি এম এ মুবিন খান।

আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মু. রহমাতুল মুনিম এতে সভাপতিত্ব করেন। এম এ মুবিন খানের নেতৃত্বে বিপিএমসিএ প্রতিনিধি দলে ছিলেন মোয়াজ্জেম হোসেন, নরুল হাসান, মতিউর রহমানসহ অনেকে।

মূল প্রবন্ধে এম এ মুবিন খান বলেন, '২০১০ সালের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর ওপর ১৫ শতাংশ হারে আয়কর ধার্য করা হয়েছে। এ বছর প্রস্তাবিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজ আইন ২০২১ এ বেসরকারি মেডিকেল কলেজকে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান বলে গণ্য করেছে।

তিনি বলেন, 'বেসরকারি মেডিকেল কলেজের উপর ধার্যকৃত ১৫ শতাংশ আয়কর রহিত করার সুপারিশ করছি।'

কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা উপকরণ সার্জিক্যাল গস্নাভস আমদানির ওপর ৩৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ কর মওকুফ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যমান এইচএস কোডের মাধ্যমে এই পণ্যটি আমদানির উপর ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ১৫ শতাংশ মুসক এবং ৫ শতাংশ অগ্রিম করসহ মোট ৩৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ কর দিতে হয়।

এই ক্রান্তিকালে এই বিপুল কর বহন করা আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই সার্জিক্যাল হ্যান্ড গস্নাভসের ওপর থেকে সকল কর মওকুফ করার প্রস্তাব করছি।

মুবিন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যন্ত্রপাতি আমদানির ওপর থেকেও কর মওকুফের সুপারিশ করেন।

বেসরকারি হাসপাতালের ভাড়ার ওপর করের হার কমানো এবং মূলধনী যন্ত্রপাতির আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেন।

এছাড়া তিনি রোগ নির্ণয়ে ব্যবহৃত জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রপাতি বস্নাড ব্যাংক, রেফ্রিজারেটর, পেমেন্ট মনিটর, এনেসথেসিয়া ভেন্টিলেটর এবং আইসিইউ ভেন্টিলেটরসহ জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রপাতি আমদানির ওপর শুল্ক রেয়াতের প্রস্তাব করেন।

আলোচনায় এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মু. রহমাতুল মুনিম বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর যদি আয় থাকে তাহলে কেন কর দিতে হবে না, তা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে তার।

তিনি বলেন, 'বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো যদি নন প্রফিট অর্গানাইজেশন হয় তাহলে কর মওকুফ পাবে।'

গ্রামের মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতে উদ্বুদ্ধ করতে তিনি মফস্বল শহরে কেউ হাসপাতাল করলে কর রেয়াত দেওয়া যায় কিনা, তা এনবিআরের উপস্থিত সদস্যদের তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।

মেডিকেল যন্ত্রপাতি আমদানিতে কর রেয়াতের প্রস্তাব প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, 'দেশে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী আছে, যারা শুধু লাভের চিন্তা করে। বিনা শুল্কে যন্ত্রপাতি আমদানির সুযোগ দিলে সুযোগ নেবে এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা। তাই ইচ্ছা থাকলেও এই সুবিধা দিতে পারব বলে আমার মনে হয় না।'

অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য (কর নীতি) আলমগীর হোসেন, সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া (কাস্টমস নীতি) এবং মাসুদ সাদেক (ভ্যাট পলিসি) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে