বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শুল্ক ও কর পরিশোধে ই-পেমেন্টের সময়সীমা নির্ধারণ

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৯ মার্চ ২০২১, ০০:০০

আগামী ১ জুলাই থেকে আমদানি-রপ্তানি পণ্য চালানের বিপরীতে ২ লাখ টাকার বেশি শুল্ক কর ই-পেমেন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। একই সঙ্গে ২০২২ সাল থেকে আমদানি-রপ্তানি পণ্য চালানের বিপরীতে যেকোনো পরিমাণ শুল্ক কর ই-পেমেন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করা বাধ্যতামূলক করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। রোববার এনবিআর সদস্য খন্দকার আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এসব কথা বলা হয়েছে।

শুল্ক কর্মকর্তারা মনে করছেন, আমদানিকারকরা ই-পেমেন্ট করলে দ্রম্নত রাজস্ব পরিশোধ করতে পারবেন। এতে জাল কাগজপত্র জমা দিয়ে রাজস্ব ফাঁকির প্রবণতাও কমে যাবে। এ বিষয়ে এনবিআরের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু'মেন বলেন, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে আমদানি-রপ্তানি পণ্য চালানের বিপরীতে ২ লাখ টাকার বেশি শুল্ক কর এবং ১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে সব পরিমাণ শুল্ক কর ই-পেমেন্টের মাধ্যমে পরিশোধ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, কমলাপুরের আইসিডি ও ঢাকা কাস্টম হাউসে ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে সব ধরনের বিল অব এন্ট্রির বিপরীতে শুল্ক-কর পরিশোধ করতে হবে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে। এটি পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হবে। ওই বছরের জুলাই থেকে দেশের সব শুল্ক হাউস ও শুল্কস্টেশনে ২ লাখ টাকার বেশি শুল্ক-কর হলে ই-পেমেন্ট করতে হবে। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে শুল্ক-কর পরিশোধের সীমা থাকবে না। পাশাপাশি অন্যান্য মাশুলও ই-পেমেন্টের আওতায় চলে আসবে।

২০১৭ সালে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু করা হয়। কিন্তু তার কাঙ্ক্ষিত সুফল গত দুই বছরেও মেলেনি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ই-পেমেন্টের মাধ্যমে ১ হাজার ১৩০ কোটি টাকার রাজস্ব পাওয়া গেছে। আর ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে ৪ হাজার ১১০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। বর্তমানে ১৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ই-পেমেন্ট ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে। ই-পেমেন্ট ব্যবস্থায় আমদানিকারক বা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের ব্যাংক হিসাব থেকে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারি ট্রেজারিতে অর্থ পরিশোধ করা যায়। ফলে আমদানিকারক বা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নির্বিঘ্নে দ্রম্নত রাজস্ব পরিশোধ করতে পারবেন। এতে আমদানি-রপ্তানি পর্যায়ে শুল্ক-কর পরিশোধে জালিয়াতির ঝুঁকি কমে যাবে। কিছু পণ্য রপ্তানিতেও শুল্ক দিতে হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে